1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে শরণার্থী সংকট: উদ্যোগ নেয়ার এখনই সময়

গ্রেহেম লুকাস/এআই৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

শরণার্থী সংকট নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান এখন পর্যন্ত বিশৃঙ্খলাপূর্ণ৷ কখনো তাদের প্রতি সংহতি জানানো হচ্ছে, কখনো শত্রুতা৷ ইউরোপের এক্ষেত্রে ভালো কিছু করা দরকার, লিখেছেন ডয়চে ভেলের গ্রেহেম লুকাস৷

https://p.dw.com/p/1GREq
Ungarn Flüchtlinge in Budapest machen sich zu Fuß Richtung Deutschland auf
ছবি: picture-alliance/epa/Z. Balogh

আমি নিজেকে নির্দিষ্ট কোন দেশের নয়, বরং সবসময়ই ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন নাগরিক হিসেবে গণ্য করেছি৷ সত্তর এবং আশির দশকে আমার কাছে মনে হয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বিবেচনায় এক চমৎকার আইডিয়া৷ আমাদের প্রজন্মের অনেকেই মনে করেন, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যকার একতা যুদ্ধ পরিহারের সবচেয়ে ভালো উপায়৷ তাছাড়া এর অভ্যন্তরীণ বাজার এবং সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থা আমাদের উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা দিচ্ছে৷ তবে এক্ষেত্রে অগ্রগতির অভাব এবং সংস্কারে ধীরগতি যারপরনাই হতাশার ব্যাপার৷

গত পঞ্চাশ দশকের ইতিহাস বলছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কখনোই সংকটের সময় ভালোভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেনি৷ রাজনৈতিকভাবে নীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়া বেশ মন্থর এবং কষ্টকর৷ কঠিন সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক সময় সম্ভব হলে ‘ধীরে চলো' নীতি গ্রহণ করা হয়৷ সংস্কার দ্রুত প্রয়োজন৷ অধিকাংশ ইউরোপীয় নাগরিক জোর গলায় না বললেও বুঝতে পারছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তখনই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয় যখন কিনা সংস্কার পরিহারের আর কোন উপায় থাকে না

Lucas Grahame Kommentarbild App
গ্রেহেম লুকাস, ডয়চে ভেলে

এখন আরেক সংকট চলছে, যা গত কয়েকবছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকট৷ আমরা বর্তমানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এখন অবধি সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট প্রত্যক্ষ করছি৷ যেসব বাধা পেরিয়ে শরণার্থীদের এখানে আসতে হচ্ছে তা অনেক ভয়ঙ্কর এবং অধিকাংশক্ষেত্রে প্রাণনাশক হতে পারে৷ আমাদের এটা স্বীকার করতে হবে যে সিরিয়া, ইরাক এবং অন্যান্য দেশ থেকে শরণার্থীদের বিপদসঙ্কুল পথে ইউরোপে পাঠাচ্ছে নিষ্ঠুর মানবপাচারকারী অপরাধী চক্র৷ এই পথে কষ্ট অনেক এবং হাজারো মানুষের মৃত্যুও ঘটছে৷

জার্মানি তার অতীতের কথা বিবেচনায় করে শরণার্থীদের প্রতি যে ঔদার্য দেখাচ্ছে তার সঙ্গে ইউরোপের আর কোনো কিছুর তুলনা চলে না৷ দেশটি চলতি বছর সম্ভবত আট লাখ থেকে এক মিলিয়নের মতো শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে৷ তবে ইউরোপের অন্য কিছু দেশ, বিশেষ করে হাঙ্গেরি এবং পোল্যান্ড হয় সাহায্য করতে অনীহা দেখাচ্ছে অথবা শরণার্থীদের শুধুমাত্র অন্য দেশে সরিয়ে দিচ্ছে৷ আর গ্রিস এবং ইটালির মতো দেশগুলো শরণার্থীদের সংখ্যার সঙ্গে নিজেদের আর মানিয়ে নিতে পারছে না৷ ইংল্যান্ড এক্ষেত্রে তাদের মনোভাব পরিবর্তন করেছে, যদিও অনেক দেরিতে৷

সমস্যার একটা দিক হচ্ছে প্রকৃত শরণার্থীদের সঙ্গে বলকান দেশগুলোর অনেকে যোগ দিচ্ছেন যারা আসলে শুধুমাত্র নিজেদের জীবনমানের উন্নয়নের চেষ্টা করছেন৷ এর অর্থ হচ্ছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এসে গেছে৷ ইউরোপের একটি অভিবাসন নীতি দরকার যা ইউরোপের জনসংখ্যার হ্রাস কমাতে সহায়ক হবে৷ তবে এর একটি অ্যাসাইলাম নীতি প্রয়োজন যা আমাদের দায়বদ্ধতা মেটাতে সহায়ক হবে এবং মাত্রাতিরিক্ত বোঝা সৃষ্টি করবে না৷ ইউরোপীয় নেতাদের এখন একে অপরের উপর বিশ্বাস রেখে সমন্বিতভাবে ঠিক করা উচিত কি ধরনের অভিবাসন ইউরোপের প্রয়োজন এবং শরণার্থীদের বোঝা কীভাবে সবাই মিলে বহন করা যায়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান