1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উদ্বিগ্ন ও সতর্ক জার্মানি

১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অভিবাসীদের ঘিরে উদ্বেগ ও সতর্কতার বাতাবরণ৷ কার্নিভাল শুরুর আগে এমনই ইঙ্গিত৷ ডানপন্থি এক নেত্রী মনে করেন, সীমান্তে প্রয়োজনে পুলিশকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ওপর গুলি চালানোর অনুমতিও দিতে হবে৷ এ নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক৷

https://p.dw.com/p/1Hmq1
Karneval 2015 Rosenmontag Sicherheit Polizei
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg

৩১ ডিসেম্বর রাতের ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি৷ এক হাজারের মতো নারীর যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার রহস্যের কোনো কুলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ৷ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার কাজে অগ্রগতিও খুব উল্লেখযোগ্য নয়৷ এমন এক অবস্থাতেই আবার বড় এক গণজমায়েতের প্রস্তুতি নিচ্ছে কোলন৷

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে কার্নিভাল৷ এ উৎসবে সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্বে এবার থাকছে আড়াই হাজার পুলিশ৷ সংখ্যাটি গত বছরের তিনগুণ৷ নিরাপত্তা বাজেটও এবার বাড়িয়ে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ইউরো করা হয়েছে৷

কার্নিভালে সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উদ্যোগও নেয়া হচ্ছে৷ জার্মানরা কীভাবে এ উৎসব উদযাপন করে, বিয়ার বা অন্য ধরনের অ্যালকোহল পান যে এ উৎসবের জন্য বাধ্যতামূলক নয়, উৎসবের সময় নারীর অনুমতি সাপেক্ষে পুরুষ যে ঘনিষ্ঠ হয়েও শুভেচ্ছা জানাতে পারে, জোর করে ঘনিষ্ঠ হতে যাওয়া যে যৌন হয়রানির শামিল – এ সব বোঝানোর জন্য নেয়া হচ্ছে নানান উদ্যোগ৷

জার্মানি মনে করে, এখানকার শিক্ষা, সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মূল ধারার জার্মানদের সঙ্গে মানসিকভাবে সম্পৃক্ত হওয়াটা খুব জরুরি৷

জার্মানির শ্রম মন্ত্রী বলেছেন, অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিজেদের স্বার্থেও জার্মানদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার জন্য ভাষা শেখা, সংস্কৃতিকে জেনে তার প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো – এ সব চেষ্টা করা উচিত৷ তিনি বলেছেন, অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে যাঁরা জার্মান সমাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগগুলো নিতে অনীহা প্রকাশ করবেন, তাঁদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা কমানোর কথা ভেবে দেখা হবে৷

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, সিরিয়া এবং ইরাকে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় যাঁরা জার্মানিতে এসেছেন, তাঁদের জার্মানিতে স্থায়ী না হওয়াই ভালো৷ ম্যার্কেল আশা করছেন, যুদ্ধ শেষ হলে সিরীয় এবং ইরাকিরা নিজেদের দেশে ফিরে যাবেন৷

শরণার্থী সংকট সমাধানে ম্যার্কেলের উদারনীতি বহির্বিশ্বে খুব প্রশংসিত হলেও, জার্মানিতে পরিস্থিতি অনেকটা উল্টো৷ এই ইস্যুতে এ মুহূর্তে চাপের মুখেই আছেন ম্যার্কেল৷ অন্যদিকে অভিবাসীবিরোধী ডানপন্থিদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে৷ এক জরিপে দেখা গেছে, এ মুহূর্তে কমপক্ষে ১৩ শতাংশ জার্মান ডানপন্থি দল এএফডি-কে সমর্থন করছে৷ অলটারনেটিভ ফর জার্মানি, সংক্ষেপে এএফডি নামের দলটি অভিবাসন ইস্যুতে খুবই কট্টর৷ সম্প্রতি দলটির নেত্রী ফ্রাউকে পেট্রি বলেছেন, জোর করে কেউ সীমান্ত অতিক্রম করতে চাইলে তাকে গুলি করার অনুমতি পুলিশকে দেয়া উচিত৷ দলের অন্যান্য নেতারা তাঁকে সমর্থন করলেও জার্মানির অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং পুলিশ এর বিরোধিতা করেছে৷ এক বিবৃতিতে জার্মান পুলিশ ইউনিয়ন জানিয়েছে, ‘পুলিশ অভিবানস প্রত্যাশীদের ওপর গুলি চালাতে প্রস্তুত নয়৷'

সব মিলিয়ে অভিবাসন ইস্যু নিয়ে এক ধরণের সংকটকালই পার করছে জার্মানি৷ বিষয়টি নিয়ে ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদক আলেক্সান্ডার কুডাশেফও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর মতে, অভিবাস ইস্যুতে এখন কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি জার্মান সমাজ৷

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য