1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘পতিতাবৃত্তি' বেছে নিচ্ছে উদ্বাস্তুরা

১৫ এপ্রিল ২০১৭

জার্মানিতে আগত তরুণ অভিবাসীরা নিজ খরচ মেটাতে যৌন কর্মী হতে বাধ্য হচ্ছেন৷ সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানা যায় এ তথ্য৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘ইন্টিগ্রেশন' এবং সামাজিক নীতি খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি করেছে জার্মানির বামদল৷

https://p.dw.com/p/2bD9a
Deutschland Frühling in Berlin
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Zinken

জার্মানির বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা জানিয়েছে, জার্মানিতে তরুণ অভিবাসীদের যৌন পেশায় নিয়োজিত হওয়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে৷ গত সোমবার বার্লিনের ব্রডকাস্টার আরবিবি-র এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য৷ প্রতিবেদনটি প্রস্তুতে বেশ কয়েকটি স্থানীয় দাতব্য সংস্থার সহায়তা নেয়া হয়েছে৷

যৌন পেশায় নিয়োজিত তরুণদের মধ্যে অধিকাংশই মূলত আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ইরান থেকে এসেছেন৷ দাতব্য সংস্থাগুলো মনে করে, জার্মানির দোদুল্যমান সামাজিক ব্যবস্থা এই বৃদ্ধির পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে, কেননা, অল্পবয়সি অভিবাসীদের বয়স ১৮ পার হলেই তারা রাষ্ট্রের সামাজিক সহায়তার বাইরে চলে যায়৷ তখন নিজের খরচ চালাতে তাদের কেউ কেউ দেহব্যবসায় নেমে পড়ে৷

আরবিবি জানিয়েছে যে, এই তরুণদের অধিকাংশই বিভিন্ন অনলাইন ফোরাম থেকে খদ্দের যোগাড় করে৷ পাশাপাশি বার্লিনের টিয়ারগার্টেন পার্কও এক ‘মিটিং প্লেস', যেখানে অনেক বয়স্ক জার্মান এ সব অল্পবয়সি অভিবাসীদের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে যৌনমিলনের জন্য সাক্ষাৎ করেন৷

বার্লিনে বাম দলের চেয়ারম্যান ক্যাটরিনা শ্যুবার্ট এই প্রসঙ্গে জানান, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে অনেক তরুণ, যারা জার্মানিতে অভিবাসন বা অন্য যে কারণেই আসুক না কেন, নিজেদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন৷ ‘‘আমাদের আরো বেশি সাহায্যকারী এবং সংস্থা দরকার, যারা গৃহহীন তরুণদের খেয়াল রাখবে৷ পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচি দরকার, যাতে তারা জার্মান শেখার এবং স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায়৷''

তবে ‘হিল্ফে ফর ইউঙ্গস' নামের জার্মান দাতব্য সংস্থার চেয়ারম্যান রাল্ফ ব়্যোটেন মনে করেন, এ সমস্যার কারণ যতটা না সামাজিক সুযোগ-সুবিধা পেতে অভিবাসী তরুণদের বাধা, তার চেয়েও বেশি জার্মানির রাজনৈতিক আশ্রয় এবং বিতাড়িতকরণ নীতি৷ তিনি বলেন, ‘‘অল্পবয়সি অভিবাসীদের অধিকাংশেরই জার্মান ভাষা শেখার, স্কুলে যাওয়ার বা কাজ করার অনুমতি নেই৷ তাহলে তাদের হাতে আর কী বিকল্প আছে?''

এআই/এসিবি (এএফপি, কেএনএ, আরবিবি)

প্রতিবেদনটি আপনার কেমন লাগলো? জানিয়ে দিন মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য