1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পর্নোগ্রাফি থেকে বাঁচান সন্তানকে

১৭ জানুয়ারি ২০১৭

সাত বছরের এক ছেলের বাবা আমি৷ এখনও পর্নোগ্রাফি বোঝে না সে৷ কিন্তু আর কয়েক বছরের মধ্যেই হয়ত এসবের মুখোমুখি হবে৷ তখন তাকে কীভাবে সেই ভয়াল থাবার হাত থেকে রক্ষা করবো তার উপায়গুলো এখনই একটু একটু করে জেনে নিচ্ছি৷

https://p.dw.com/p/2Vm7D
প্রতীকী ছবি
ছবি: picture-alliance/dpa

আধুনিক প্রযুক্তির কারণে পর্নোগ্রাফি বিষয়টি একেবারেই সহজলভ্য হয়ে গেছে৷ মনে আছে, আমি যখন ছোট ছিলাম তখন প্রথমবারের মতো পর্নোগ্রাফির মুখোমুখি হয়েছিলাম ‘চটি’-র মাধ্যমে৷ আমার প্রজন্মের পাঠকরা নিশ্চয় বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত৷ এরপর একে একে ভিসিআর, ভিসিডি আর ডিভিডির মাধ্যমে পর্নোগ্রাফির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল৷ মাঝেমধ্যে সিনেমা হলে ‘এক টিকিটে দুই ছবি’ দেখা৷ খোলামেলাভাবে বিষয়গুলো বলার একটিই কারণ – পাঠক, খেয়াল করে দেখুন, পর্নোগ্রাফির যে উৎসের কথাগুলো বললাম সেগুলো কিন্তু সহজলভ্য ছিল না৷ মফঃস্বলের ছেলে হওয়ায় ‘চটি’ সহজে ‘ম্যানেজ’ করা যেত না৷ আর ভিসিআর, ডিভিডি এগুলোও সবার বাড়িতে ছিল না৷

আর এখন? এখন তো স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট আসায় চাইলেই পর্নোগ্রাফিক কন্টেন্ট দেখা যাচ্ছে৷ সহজে পাবার এই কারণটিই এই যুগের বাবা-মার চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কারণ এখনকার বাচ্চারা ছোট্ট বেলা থেকেই মা-বাবার স্মার্টফোন নিয়ে গেম খেলছে৷ ইউটিউবে নিজেই কার্টুন ছেড়ে দেখছে৷ স্কুলে একা যেতে শুরু করা সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বিবেচনা করেই হোক কিংবা অন্য কোনো কারণে অল্প বয়সে সন্তানদের হাতে মোবাইল দিতে হচ্ছে৷ অর্থাৎ সেটি তাদের নিজেদের মোবাইল হচ্ছে৷ সেই মোবাইল দিয়ে তারা কী করছে তা তো আর আমি, আপনি জানতে পারব না৷ স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে পর্নোগ্রাফির দিকে ঝুঁকে পড়াটা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে মাত্র৷ বাচ্চারা নিজের মোবাইল ছাড়াও বাসার কম্পিউটার বা ট্যাবলেট দিয়েও পর্নোগ্রাফি দেখতে পারে৷

এই অবস্থা থেকে সন্তানদের রক্ষায় তার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করার বিকল্প নেই৷ তবে ওতেই সব হয়ে যাবে না৷ স্বাভাবিক প্রবৃত্তি থেকে সন্তান ওসব দেখতে চাইতেই পারে৷ সেক্ষেত্রে প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া ছাড়া উপায় নেই৷ আমার নিজের জন্য আমি আমার করণীয়ের একটি তালিকা করেছি৷ পাঠক, আপনিও দেখতে পারেন৷

  • বাসার কম্পিউটারের সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগলকে ‘সেফ সার্চ’ মুডে রাখতে হবে৷ ইউটিউবের জন্যও ‘সেফ’ মুড নির্বাচন করতে হবে৷
  • উইন্ডোজ আর ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম – দুটোতেই ‘ফেমিলি সেফটি সেটিংস’-এর ব্যবস্থা আছে৷ সেগুলো ব্যবহার করতে হবে৷
  • আজকাল বেশ কিছু ফেমিলি সেফটি টুলস পাওয়া যায়৷ এগুলো ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোলস’ নামেও পরিচিত৷ এর মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে আপনি যে কন্টেন্টগুলো পেতে চান না, সেগুলো ব্লক করতে হবে৷
  • জাহিদুল হক
    জাহিদুল হক, ডয়চে ভেলেছবি: DW/Matthias Müller
  • সন্তানের ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের ইতিহাস মাঝেমধ্যে দেখতে হবে৷ মনে রাখতে হবে আজকালকার ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়েদের চেয়েও বুদ্ধিমান হয়ে থাকে৷ তাই আপনি যে শব্দগুলো ব্লক (অর্থাৎ সার্চের সময় যে শব্দগুলো ব্যবহার করলে কোনো কন্টেন্ট দেখাবে না) করেছেন আপনার সন্তান তা এড়াতে অন্য শব্দ ব্যবহার করতে পারে৷ যেমন ‘ওয়াকিং দ্য ডগ’ হচ্ছে ‘সেক্স’ এর স্ল্যাং৷ বাবা-মা হিসেবে আপনাকে এ ধরণের ‘আধুনিক’ শব্দের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে৷ তবে সমস্যা হচ্ছে, প্রতিদিনই এরকম নতুন নতুন শব্দ তৈরি হচ্ছে৷
  • সন্তান একটু বড় হলে ‘সেক্সটিং’-এর প্রবণতা দেখা দিতে পারে৷ সেক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর তাদের মোবাইল পরীক্ষা করে দেখতে হবে৷
  • সন্তানের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারের উপরও নজর রাখতে হবে৷

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য