1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিমান চলাচলে ‘পরিবেশ বান্ধব’ নীতিমালা

হোসাইন আব্দুল হাই১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯

বিশ্বের চারটি শীর্ষ বিমান সংস্থা এবং বিমান বন্দর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএএ জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত নতুন চুক্তিতে বিমান চলাচলের কারণে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/GtEi
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইসিএও) এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিমান থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন নিয়ন্ত্রণে একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগের জন্য চেষ্টা করে আসছে৷ছবি: AP

পরিবেশবাদীরা যখন ব্যাপকভাবে অভিযোগ করছেন যে, বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তখনই এ আহ্বান জানানো হলো৷

এয়ার ফ্রান্স, কেএলএম, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ক্যাথে প্যাসিফিক, ভার্জিন আটলান্টিক বিমান সংস্থা এবং বিমান বন্দর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএএ ‘এ্যাভিয়েশন গ্লোবাল ডিল গ্রুপ' (এজিডি) এর ব্যানারে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো হংকং এ এক বৈঠকে মিলিত হয়৷ বৈঠকে তাঁরা বিমান খাতের জন্য পরিবেশ বান্ধব কিছু নীতিমালাও প্রস্তাব করেন৷

Boeing 777-300 ER Co Passagier-Jet in Everett, Washington
গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে বিমান পরিবহণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ছবি: AP

এজিডির পক্ষে এক বিবৃতিতে ক্যাথে প্যাসিফিক এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টনি টাইলার বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে বিমান পরিবহণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ অথচ দীর্ঘদিন ধরে বিমান চলাচলকে জলবায়ু দূষণ প্রতিরোধের অংশ হিসেবে না দেখে শুধুমাত্র সমস্যা হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছে৷

তাঁরা বলেন, বিমান পরিবহণ শিল্পের জন্য বাস্তবধর্মী, ন্যায্য এবং ফলপ্রসূ নীতিমালা থাকা দরকার৷ বিমান চলাচলের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক – উভয় সুবিধার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার লক্ষ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমাতে এ শিল্পের একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা থাকে৷

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইসিএও) এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিমান থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন নিয়ন্ত্রণে একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগের জন্য চেষ্টা করে আসছে৷

'ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ' এর তথ্য মতে, সারা বিশ্বে যে পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হচ্ছে তার দুই শতাংশের উৎস বিমান চলাচল৷ অথচ কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণে গৃহীত কিয়োটো প্রটোকলে বিমান পরিবহণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি৷

এ বছরের শেষ নাগাদ কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যে জাতিসংঘ জলবায়ু সংস্থার উদ্যোগে কিয়োটো প্রটোকলের পরিমার্জন করে আরেকটি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে৷ বিমান ও নৌ পরিবহণকেও এ চুক্তির আওতায় আনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, কিয়োটো প্রটোকলের প্রথম পর্যায় ২০১২ সালে শেষ হচ্ছে৷

বেশ কিছু বিমান সংস্থা অবশ্য ২০১২ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিজস্ব সীমার মধ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গমনে বিধি-নিষেধের সমালোচনা করেছেন৷ তারা বলছে, শুধু একটি এলাকার জন্য নয় বরং গোটা পৃথিবীর জন্য সামগ্রিকভাবে এক ও অভিন্ন নীতিমালা থাকা উচিত৷ তা না হলে বর্তমান প্রতিযোগিতার বাজারে কিছু বিমান সংস্থা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে৷