1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাদাগাস্কারের লেমুর

মিশায়েল ভেৎসেল/এসি২৩ জুন ২০১৬

মাদাগাস্কার দ্বীপটিতে এমন সব জীবের দর্শন পাওয়া যায়, যারা বিশ্বের আর কোথাও নেই – যেমন লেমুর বানরেরা৷ সেজন্য জার্মানির গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মাদাগাস্কারের জঙ্গলে একটি ফিল্ড স্টেশন খুলেছেন৷

https://p.dw.com/p/1JBHU
মাদাগাস্কারের লেমুর
ছবি: Michael Wetzel

মাদাগাস্কারের লেমুর বানর

কিরিন্ডির জঙ্গলে হেমন্ত৷ বর্ষাশেষে সব কিছু এখনও সবুজ, যদিও শীতে পাতা ঝরে৷ জায়গাটা শুকনো৷ লেমুর নামের ছোট ছোট বানরগুলোকে শুধু মাদাগাস্কারেই পাওয়া যায়৷ গবেষকরা রয়েছেন একটি সিফাকা-র খোঁজে৷ সিফাকা হল এই জঙ্গলের সবচেয়ে বড় লেমুরটির নাম৷

তীর লেগেছে! এখন শুধু সিফাকা-টির গাছ থেকে পড়া বাকি৷ তবে চোট পেলে চলবে না...৷

ধরা গেছে! এখন সব কিছু তাড়াতাড়ি হওয়া চাই৷ লেমুর-টাকে মেপে, ওজন করে, গলায় ট্রান্সমিটার বেঁধে আবার ছেড়ে দিতে হবে৷

জার্মান প্রাইমেট সেন্টার এম-১-এর প্রধান পেটার কাপেলার জীবটিকে চেনেন৷ তিনি জানালেন, ‘‘ওর নাম হল মোরিৎস৷ পুরুষ লেমুর৷ ওর জন্ম থেকে আমরা ওর খোঁজ রাখি৷ যে দলে ওর জন্ম, তা ছাড়বার পর থেকে ও কী করেছে, ওর কত বয়স, সব কিছু আমরা জানি৷ প্রতিটি লেমুরকে আলাদা করে ট্র্যাক করার এটাই সুবিধা৷ প্রত্যেকের সম্বন্ধে বিশদ তথ্য পাওয়া যায়৷''

কিরিন্ডির লেমুর

পেটার কাপেলার গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের অধ্যাপক৷ গত ২০ বছর ধরে তিনি কিরিন্ডির লেমুরদের নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন, এখানে একটি ফিল্ড স্টেশনও চালান৷ এই জঙ্গলে আট ধরনের লেমুর থাকে – তাদের মধ্যে অতি বিরল ডোরাকাটা বেজিরাও আছে৷

বিভিন্ন ধরনের লেমুররা পরস্পরের সঙ্গে থাকে কী করে? পরিবেশের সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নেয় তারা? কেউ যদি তাদের পর্যবেক্ষণ করে, তাতে তাদের আপত্তি নেই৷ কিছু ছাত্রছাত্রী এখানে তাদের স্নাতকোত্তর গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ করছেন৷ আলেসিও আনানিয়া লেমুরদের ডাক নিয়ে পিএইচডি করছেন৷ কাটিয়া রুডল্ফ লেমুরদের আচার-ব্যবহার আর স্বাস্থ্য সম্পর্কে আগ্রহী৷ তবে ডাটা সংগ্রহ করতে গেলে ধৈর্য আর দম লাগে৷ কাটিয়া শোনালেন, ‘‘সকালে তিন-চার ঘণ্টা এদের পর্যবেক্ষণ করি, দুপুরে আরো তিন-চার ঘণ্টা৷ মোট চারটে লেমুরের ওপর নজর রাখি৷ ওরা যখন ঘুমোয়, তখনও ওদের ঘণ্টা খানেক দেখি – নিজে ঘুমিয়ে না পড়ে!''

লেমুরদের স্বভাব-চরিত্র সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু জানা নেই৷ কিন্তু আরো জানার সময় আছে কি? জঙ্গল আর তার বাসিন্দা, সকলেই তো বিপন্ন৷ প্রফেসর কাপেলার আক্ষেপ করলেন, ‘‘এই সুন্দর জঙ্গল, যেখানে সব কিছু এখনো স্বাভাবিক, অবিকৃত, সেখানে আমরা সহজেই সে কথা ভুলে যাই৷ কিন্তু যে কোনো দিকে দশ কিলোমিটার গেলেই আর জঙ্গল বলে কিছু নেই৷ তখন বোঝা যায়, এ সব ঠিক কতটা বিপন্ন৷''

দশ কিলোমিটার দূরে বলতে এখানে, একটা রাস্তার মোড়ে৷ কাছের গ্রামের বাসিন্দারা এখানে তাদের ভুট্টা বা তরমুজ বেচছে৷ জঙ্গলের কল্যাণেই বেঁচে আছে তারা,যদিও সে জঙ্গল তাদের হাতেই ধীরে ধীরে বিনষ্ট হচ্ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান