1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গাদের আগামী ছয় মাসের সংকট

৪ অক্টোবর ২০১৭

বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের আগামী ছয় মাস ত্রাণ সরবরাহ করতে সাড়ে ৪৩ কোটি ডলার প্রয়োজন বলে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো জানিয়েছে৷ তারা বলছে, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বড় একটি অংশই শিশু৷ তাদের জীবন বাঁচানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ৷

https://p.dw.com/p/2lCWK
ছবি: DW/M.M. Rahman

গত ২৫ আগস্টের পর পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছেড়ে আসায় বাংলাদেশে এখন মোট রোহিঙ্গা আছে আট লাখেরও বেশি৷ তবে রাখাইনে শান্তি না ফিরলে সংখ্যাটা ১২ লাখেরও বেশি হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী রবার্ট ওয়াটকিনস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘কক্সবাজারের যে এলাকায় সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে, তাদের অনেকেরই অবস্থা বেশ করুণ৷ কেউ কেউ এক ধরনের ট্রমার মধ্যে আছে৷ ফলে সব মিলিয়ে কঠিন সময় পার করছে তারা৷’’

গত আগস্টে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী যে অভিযান চালায় তার কারণে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়৷ তারপর থেকেই বিপুল সংখ্যক এই জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার ও মানবিক সাহায্যকারী সংস্থাগুলো৷

জাতিগতভাবে রোহিঙ্গাদের নির্মূল করার উদ্দেশ্যে অভিযান পরিচালনার অভিযোগ মিয়ানমার অবশ্য শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে৷ তাদের দাবি, ২৫ আগস্ট আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে হামলা চালানোর কারণেই এই সংকটের সৃষ্টি হয়৷

‘‘রোহিঙ্গাদের আগমন বেড়েই চলেছে, কাজেই বাড়তি সংখ্যা মাথায় রেখেই সাহায্য সংস্থাগুলো এখন পরিকল্পনা করছে,’’ জানালেন ওয়াটকিনস৷

সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, ৫ লাখের বেশি মানুষের জন্য খাদ্য আর ১ লাখের জন্য জরুরি ভিত্তিতে বসবাসের জায়গা প্রয়োজন৷

শরণার্থীদের অর্ধেকের বেশি শিশু, প্রায় ২৪ হাজার গর্ভবতী নারী, যাদের প্রসূতিকালীন সেবার ব্যবস্থা করা দরকার৷ 

তাদের মতে, ‘‘কেবল জীবন বাঁচাতেই এখানে বড় পরিসরে সহায়তা দরকার৷ অবিলম্বে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যানিটেশন আর পরিচ্ছন্ন পরিবেশের ব্যবস্থা করতে না পারলে নানা রকম রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা আছে৷’’

এএম/এসিবি (রয়টার্স)

১৪ সেপ্টেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...