1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হত্যার হুমকি দিচ্ছে শরণার্থী!

৩০ জানুয়ারি ২০১৬

সিরিয়া থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে নেদারল্যান্ডসে এলেও ‘নিরাপদ' দেশে ওমর নিরাপদ নয়৷ অশ্লীল গালিগালাজ থেকে শুরু করে হত্যার হুমকি পর্যন্ত সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে৷ মানসিক নির্যাতন ও হত্যার হুমকি যাঁরা দিচ্ছেন তাঁরাও তার মতো শরণার্থী৷

https://p.dw.com/p/1Hlbh
Deutschland Flüchtlingspolitik Familien-Nachzug syrische Flüchtlinge
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Kahnert

সিরিয়ার অবস্থাপন্ন পরিবারের সন্তান ওমর আগে থেকেই স্বপ্ন দেখতো একদিন সুযোগ পেলে নেদারল্যান্ডসে যাবেন৷ বিশ্বের সব দেশের মধ্যে নেদারল্যান্ডসই সবার আগে সমকামীদের বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়েছিল৷ ওমর জানেন, ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডস প্রথম দেশ হিসেবে একটি ‘ট্যাবু' ভাঙার পর বেশ কিছু দেশই তা অনুসরণ করেছে৷ তবে অ্যামস্টারডামের ‘গে প্যারেড' এখনো বিশ্বসেরা৷ ওমর অবশেষে নকল পাসপোর্ট কাজে লাগিয়ে সেই অ্যামস্টারডামে এসে পৌঁছেছে৷

তবে সেই স্বপ্নের শহরে পৌঁছানোর কয়েকদিনের মধ্যেই স্বপ্নভঙ্গও হয়েছে তাঁর৷ ওমর নিজেও সমকামী৷ এ কারণে সিরিয়ায় জীবন কখনো সহজ, স্বাভাবিক হয়নি৷ অ্যামস্টারডামেও অবস্থার উন্নতি হয়নি৷ বরং শরণার্থীরা যখন তাঁকে চেঁচিয়ে বলে, ‘‘তুই শরণার্থীদের কলঙ্ক'', যখন তাঁকে ধাক্কা মারে তখন মনে হয়, ‘‘এ আমি কোথায় এলাম!''

২০১৫ সালে ৫৪ হাজার শরণার্থী এসেছে নেদারল্যান্ডসে৷ ওমর তাঁদের একজন৷ তিনি ভেবে পান না, যে শরণার্থীরা তাঁর মতোই অনেক দূরের এক দেশ থেকে, এত কষ্টের পথ পাড়ি দিয়ে নেদারল্যান্ডসে এসেও তাঁকে এবং তাঁর মতো সমকামীদের অপমান, নির্যাতন করতে পারেন কী করে!

বার্তাসংস্থা এএফপিকে অবশ্য স্বস্তি নিয়েই ওমর বলছিলেন, ‘‘ওরা যে আমাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করেনি, সেটাই আমার সৌভাগ্য৷'' তবে শরণার্থী শিবিরে থাকলে এতদিনে সেই দুর্ভাগ্যও হয়তো হয়ে যেত৷ সম্প্রতি ডাচ সমকামী নিজের ঘরের একটি কক্ষে থাকতে দিয়েছেন ওমরকে৷ সেই থেকে ঘরের ভেতরে অন্তত নিরাপদে থাকতে পারেছেন সিরীয় এই তরুণ৷

অনেক সমকামীর সেই সৌভাগ্য হচ্ছে না৷ শরণার্থী শিবিরে মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এ পর্যন্ত দু'জন সমকামী আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন৷ একজন প্রচণ্ড শীতের রাতে শিবির থেকে বেরিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন পাশের এক গহীন বনে৷ এক সপ্তাহ সেখানেই ছিলেন৷ তারপর এক ডাচ পরিবার দয়াপরাবশ হয়ে ঘরে আশ্রয় দেয়ায় প্রাণে বেঁচেছেন তিনি৷

কিছু ডাচ নাগরিকও অবশ্য সমকামীদের প্রতি সহানুভূতিশীল নন৷ একজন তাই টুইটারে লিখেছেন, ‘‘শরণার্থীরা যতক্ষণ না নিজেদের ধর্ম চর্চা শুরু করছে, ততক্ষণ ঠিক আছে৷ আমি কিন্তু একজন খ্রিষ্টান সমকামীকেও এখানে ঠিক আশা করি না৷''

এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি)

শুধু সমকামী বলে তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হবে? এ ঘটনাকে আপনি কীভাবে দেখছেন? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান