1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘শরণার্থীদের প্রবেশের ঊর্দ্ধসীমা মানছি না'

১৭ জুলাই ২০১৭

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সরাসরি খুব বেশি আদানপ্রদান দেখা যায় না৷ তাই জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল যখন গ্রীষ্মকালীন বিরতি ও সাধারণ নির্বাচনের আগে লম্বা এক সাক্ষাৎকার দিলেন, তখন তাঁর বক্তব্য বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2gdgw
ম্যার্কেল
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Gambarini

শরণার্থী নীতির মতো কিছু বিষয়ে ঘরে-বাইরে কিছুটা কোণঠাসা ম্যার্কেল৷ তাই তিনি চ্যান্সেলর হিসেবে সরে দাঁড়াতে পারেন, এমন জল্পনাকল্পনার শেষ নেই৷ জার্মানির এআরডি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বললেন, সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলে তিনি অবশ্যই ৪ বছর চ্যান্সেলর থাকবেন৷ তার আগে সরে যাবার কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই৷ সে ক্ষেত্রে তিনি তাঁর প্রয়াত পূর্বসূরি হেলমুট কোলের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন৷

উদার শরণার্থী নীতির কারণে নিজের ইউনিয়ন শিবিরের মধ্যে চাপের মুখে রয়েছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বিশেষ করে বাভেরিয়ায় সহযোগী সিএসইউ দল শরণার্থীদের সংখ্যার ক্ষেত্রে ঊর্দ্ধসীমা বেঁধে দিতে বদ্ধপরিকর৷ এমনকি আগামী সরকারের অংশ হতে পারলে তারা এই শর্তে জোটসঙ্গী হতে প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছে৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, যে তিনি এমন ঊর্দ্ধসীমার বিরোধী৷ তবে শরণার্থীদের সংখ্যা কমানো, তাদের দেশ ছাড়ার কারণ দূর করার প্রচেষ্টার মতো বিষয়ের ক্ষেত্রে তিনি আরও তৎপর হবেন বলে জানিয়েছেন৷

নেতা হিসেবে ম্যার্কেল নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে প্রস্তুত নন৷ এমনকি নির্বাচনের প্রচার জমে ওঠার আগে প্রতিদ্বন্দ্বী এসপিডি দলকে কোণঠাসা করার এক সুবর্ণ সুযোগও হাতছাড়া করলেন তিনি৷ জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের সময় মাত্রাহীন হিংসা দমন করতে না পেরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন হামবুর্গ শহরের মেয়র ও এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎস৷ শহরে ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের শাখা তাঁর পদত্যাগও দাবি করছে৷ কিন্তু এআরডি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ম্যার্কেল এই প্রশ্নে পুরোপুরি হামবুর্গের মেয়রের পাশে দাঁড়ালেন৷ সেখানে যা ঘটেছে, তার দায় সহ-আয়োজক হিসেবে তাঁর কাঁধেও পড়ে – বলেন ম্যার্কেল৷ সিডিইউ নেত্রী হিসেবে তিনি তাই মেয়রের পদত্যাগের দাবিকে সমর্থন করেন না৷

আগামী নির্বাচনে এসপিডি দলের নেতা ও প্রতিদ্বন্দ্বী মার্টিন শুলৎস সরকারি বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করে তোলার যে অঙ্গীকার করেছেন, তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ম্যার্কেল৷

ম্যার্কেল বলেন, সরকারি বিনিয়োগের জন্য এখনো অর্থের অভাব নেই৷ কিন্তু সেই অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনার প্রক্রিয়া এত দীর্ঘ, যার ফলে সমস্যা রয়েছে৷ তাই তিনি দলীয় ইস্তেহারে এক্ষেত্রে ব্যাপক রদবদলের প্রস্তাব রেখেছেন৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য