1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুদের শান্তি পুরস্কার জিতল মোহাম্মদ

৬ ডিসেম্বর ২০১৭

মাত্র ১৩ বছর বয়সে লেবাননে স্কুল প্রতিষ্ঠার মতো কঠিন কাজে হাত দিয়েছিল সিরিয়ার মোহাম্মদ আল-জাউন্দে৷ সেই স্কুলে এখন দুই শ'রও বেশি শরণার্থী শিশু লেখাপড়া করছে৷ এমন স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তি পুরস্কার জিতেছে মোহাম্মদ৷

https://p.dw.com/p/2opjD
ছবি: Reuters/KidsRights

দৃষ্টান্তমূলক কাজের জন্য প্রতিবছর শিশুদের শান্তি পুরস্কার দেয় নেদারল্যান্ডসের কিডসরাইটস ফাউন্ডেশন৷ এ পর্যন্ত যারা এই পুরস্কার জিতেছে, তাদের মধ্যেসবচেয়ে কম বয়সে নোবেল জেতা মালালা ইউসুফজাই-ও আছেন৷ পাকিস্তানে তালেবানের হামলার শিকার হওয়া মালালা দীর্ঘদিনের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন৷ ২০ বছর বয়সি এই নোবেলজয়ী এখন ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী৷ মঙ্গলবার দ্য হেগে তিনিই শিশুদের শান্তি পুরস্কার তুলে দেন ১৬ বছর বয়সি মোহাম্মদ আল জাউন্দের হাতে৷

এখন বয়স ১৬ হলেও লেবাননের বেকা উপত্যকার কাছে স্কুল প্রতিষ্ঠা শুরু করার সময় মোহাম্মদের বয়স ছিল ১৩৷ সিরিয়া থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা শিশুদের জন্য স্কুল গড়তে প্রথমে নিজের আত্মীয়-স্বজনদেরই সহায়তা চেয়েছিল মোহাম্মদ৷ এক এক করে অনেকেই এগিয়ে আসে তার আহ্বানে৷ অল্প কিছুদিনেই অনেক শিশু শিখতে শুরু করে লেখাপড়া৷ এক সময় বয়স্করাও আগ্রহ দেখাতে শুরু করে৷ তাঁদেরও ফেরায়নি মোহাম্মদ৷ শুরুতে মোহাম্মদ নিজেই নিয়েছিল শিশুদের পড়ানোর দায়িত্ব৷ পরে ধীরে ধীরে সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসা বেশ কয়েকজন পেশাদার শিক্ষক যোগ দেন৷ ফলে লেবাননের শরণার্থীদের এলাকার স্কুলটি এখন ছোট-বড় সবার জন্যই আদর্শ এক বিদ্যাপীঠ৷

পুরস্কার গ্রহণের সময় মোহাম্মদ আল জাউন্দে জানিয়েছে, ‘‘পড়তে বা লিখতে শেখানোই এই স্কুলের উদ্দেশ্য নয়, আসল উদ্দেশ্য হলো কম বয়সি শরণার্থীদের নিজেদের প্রকাশের জন্য একটা জায়গা তৈরি করে দেয়া৷’’

মোহাম্মদের প্রশংসা করতে গিয়ে মালালা বলেন, ‘‘মোহাম্মদ জানে যে, সিরিয়ার ভবিষ্যত শিশুদের ওপর নির্ভরশীল আর শিশুদের ভবিষ্যত নির্ভরশীল শিক্ষার ওপর৷’’

সাত বছর ধরে যুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়৷ এ যুদ্ধে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ ২৫ লক্ষ শিশু আজ দেশছাড়া৷ তাদের মধ্যে অন্তত ৫ লক্ষ সিরীয় শিশু আশ্রয় নিয়েছে লেবাননে৷

এসিবি/ডিজি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)