1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিচ্ছিন্নতার পথে কাটালুনিয়া

৫ অক্টোবর ২০১৭

স্পেন ও কাটালুনিয়ার রাজ্য সরকারের মধ্যে সংলাপ বন্ধ থাকায় সংকট কাটছে না৷ এই অবস্থায় সোমবারই একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারে কাটালুনিয়া রাজ্য বিধানসভা৷ মাদ্রিদ মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে৷

https://p.dw.com/p/2lEek
সোমবার স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারে কাটালুনিয়া
ছবি: Reuters/E.Alonso

গণভোটের পর স্পেনের কাটালুনিয়া রাজ্য আগামী সোমবার একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছে৷ এই অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন আলোচনার মাধ্যমে বর্তমান সংকট মিটিয়ে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছে৷  কিন্তু স্পেনের ফেডারেল সরকার এ নিয় কোনো রকম আপোশ করতে নারাজ৷ কাটালুনিয়ার মুখ্যমন্ত্রী কারলেস পুজেমন মধ্যস্থার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছে স্পেনের সরকার৷ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখোই-এর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেআইনি কোনো বিষয় নিয়ে সরকার আলোচনা করবে না, ব্ল্যাকমেল বা হুমকির মুখেও নয়৷ একমাত্র আইনের কাঠামোর মধ্যেই গণতন্ত্রে আলোচনা হতে পারে৷ আলোচনা চাইলে পুজেমনকে আবার আইনের পথে ফিরতে হবে৷

স্পেনের সরকার, সাংবিধানিক আদালত ও রাজা ফেলিপে স্বাধীনতার লক্ষ্যে কাটালুনিয়ার ‘বেআইনি' একতরফা পদক্ষেপেরজোরালো বিরোধিতা করে চলেছেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নও কাটালুনিয়াকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে না৷ ইইউ স্পেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ৷ এমন একঘরে অবস্থা সত্ত্বেও স্বাধীনতাকামী শক্তি সোমবার কাটালুনিয়ার রাজ্য বিধানসভার পূর্ণ অধিবেশন ডেকেছে৷ সেখানে গণভোটের চূড়ান্ত ফলাফল নিয়ে বিতর্ক হবে৷ রাজ্য সরকারের এক প্রতিনিধি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, অধিবেশনের গতিপ্রকৃতির উপর নির্ভর করবে যে সেদিনই স্বাধীনতা ঘোষণা করা হবে কিনা৷

কাটালুনিয়া রাজ্য সত্যি একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা করলে স্পেনের ফেডারেল সরকার তা মেনে নিতে অস্বীকার করে রাজ্য সরকারকে বরখাস্ত করতে পারে৷ উল্লেখ্য, স্পেনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর এমন হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি৷ সে ক্ষেত্রে অবশ্য চরম প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আশঙ্কা রয়েছে৷ গণভোটের দিন থেকেই কাটালুনিয়ায় বিক্ষোভ চলছে৷ বিশেষ করে ফেডারেল পুলিশ বাহিনীর কড়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বন্ধ হচ্ছে না৷

শুধু স্পেনের সংবিধান ও আইন অমান্য করার কারণে নয়, কাটালুনিয়ার গণভোটের বৈধতা নিয়ে অন্য কারণেও বিতর্ক রয়েছে৷ মাত্র ৪২ শতাংশ ভোটারের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন জানানোর ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামত প্রতিফলিত হয়নি বলে মনে করছেন সমালোচকরা৷ তাছাড়া এমন একতরফা স্বাধীনতার পরিণাম কাটালুনিয়ার জন্য আদৌ ইতিবাচক হবে কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য