‘অক্টোবরফেস্ট’-এ দারুণ সব খাবার

অক্টোবরফেস্ট বা অক্টোবর উৎসব উদযাপনে মচমচে, নোনতা স্বাদের এক ধরণের রুটি সবসময়ই থাকে৷ এর জার্মান নাম, ‘ব্রেৎসেল’৷ বিয়ার, সসেজ আর সরষের চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করা হয় বাভারিয়া অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এই খাবার৷

সাদা রংয়ের এই সসেজগুলোর জার্মান নাম, ‘ভাইসভুর্স্ট’৷ ‘ভাইস’ মানে সাদা আর ‘ভুর্স্ট’-এর অর্থ ‘সসেজ’৷ আসলে মাংসের কিমা সেদ্ধ করার পর এমন সাদা হয়ে যায়৷ এ খাবার যে কোনো সময় খাওয়া যায় না৷ বাভারিয়ানরা ‘ভাইসভুর্স্ট’ খান শুধু সকালে৷

অক্টোবরফেস্টে থাকে হরেক রকমের সসেজ৷ সঙ্গে খাওয়ার জন্য থাকে বিভিন্ন আকার ও স্বাদের রুটি৷ এ সময় জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলের শহর মিউনিখে গেলে বকভুর্স্ট, ব্রাটভুর্স্ট, কারিভুর্স্ট, ফ্রাংকফুর্টার ভুর্স্ট বা নকভুর্স্ট-এর মধ্যে একটা অন্তত চেখে দেখার সুযোগ কি কেউ ছাড়ে?

এ উৎসবের আরেক আকর্ষণ আস্ত ষাঁড়ের ‘রোস্ট’৷ তাঁবুর সামনে ঝুলিয়ে রাখা হয় আগুনে ঝলসানো ষাঁড়ের দেহ৷ ১১৩ বছর ধরে এই খাবার বাভারিয়ানদের ঐতিহ্যের অংশ৷ সবজি, রেড ওয়াইন সস বা আলুর সঙ্গে খুব মজা করে খাওয়া হয় এই মাংস৷

অক্টোবরফেস্টে গিয়ে অনেকেই এই অনুরোধটা করেন৷ ধর্মীয় বা অন্য কোনো কারণে যাঁরা শূকরের মাংস খান না, তাঁদের কথা আলাদা৷ তবে যাঁরা এই ‘শোয়াইনহেক্সে’ খান, তাঁদের কাছে কিন্তু লবণ বা ভিনেগার মাখানো এই ঝলসানো শূকরের মাংস খুবই পছন্দের৷

সসেজ পছন্দ করেন না? কোনো সমস্যা নেই৷ অক্টোবরফেস্টে আপনার জন্য আছে নানা ধরণের সামুদ্রিক খাবার৷ চিংড়িসহ অনেক রকমের মাছ তো আছেই, ছোট-বড় কাঁকড়ার অনেক রকমের রেসিপিও থাকে সেখানে৷

মুরগির মাংসের এক ধরনের জার্মান রেসিপি এটি৷ সত্যি কথা বলতে কি, এ মাংস বেশ সুস্বাদুও বটে! আর চেহারার কথা বললে ‘শোয়াইনহেক্সে’-এর তুলনায় ‘ভাইসেন হেন্ড্ল’ কমই বা কিসে?

পনির, মানে জার্মান ‘চিজ’ ছাড়াও কিন্তু অক্টোবরফেস্ট হয় না৷ এখানে যেসব পনির পাওয়া যায়, তার মধ্যে ‘রাকলেট’ নামের এই ‘ডিশ’-টি খুবই জনপ্রিয়৷ রুটি বা আলুর ওপর গরম পনির, সঙ্গে মরিচ আর মিষ্টি পিঁয়াজ – এমন খাবার ভালো না লেগে পারে!

আদা দিয়ে তৈরি এই কেকগুলো দেখতে এমনই হয়৷ ‘হার্ট’ বা হৃদয়ের আকারের এই কেকে লেখা থাকে, ‘ইশ লিবে ডিশ’, অর্থাৎ আমি তোমাকে ভালোবাসি৷ কথ্য ভাষায়, ‘ই মগ ডি’ (ইশ মাগ ডিশ), অর্থাৎ ‘আমি তোমাকে পছন্দ করি’ – এ বার্তাও লেখা থাকে অনেক কেকে৷

বাভারিয়া অঞ্চলের আরেকটি জনপ্রিয় খাবার নুডলস৷ সাধারণ নুডলসের চেয়ে অনেক বড় আকারের এই নুডলস রুটি বা শবজি দিয়ে খেতে হয়৷ অনেক সময় নডুলসের ভেতর পালং শাক, মাংস অথবা নানা রকম মশলা পুর হিসেবে দিয়ে ‘ডাম্পলিং’ বা ‘মোমো’ বানিয়েও খান জার্মানরা৷