1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অগ্নিকান্ডে আহতদের বাঁচার লড়াই

৯ জুন ২০১০

বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র দুদিন বাকী৷ ফলে ঢাকার পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতায় এখন অনেকটা জুড়ে থাকছে বিশ্বকাপের খবর৷

https://p.dw.com/p/NlcU
জ্বলছে পুরান ঢাকার একটি বাড়িছবি: AP

এছাড়া পুরান ঢাকার অগ্নিকান্ডের ফলোআপ রিপোর্ট, সুনামগঞ্জের ট্রলারডুবি, রাজনীতি এসবই হলো আজকের ঢাকার বিশেষ বিশেষ খবর৷

নিমতলীর অগ্নিকান্ড
দৈনিক কালের কন্ঠ আজ তাদের শীর্ষ খবরটি করেছে এই অগ্নিকান্ড নিয়ে৷ এতে বলা হয়েছে যে, অগ্নিকান্ডে আহতরা এখন বাঁচার লড়াই করছেন৷ আর তাঁদের এই লড়াইয়ে শক্তি যোগাচ্ছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ৷ প্রতিদিনই নানান পেশার মানুষ হাসপাতালে যাচ্ছেন তাঁদের দেখতে৷ কেউ কেউ করছেন আর্থিক সাহায্য৷ যেমন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আহতদের দেখতে গিয়ে একদিনের বেতন দান করার ঘোষণা দিয়েছেন৷ এদিকে দৈনিক ইত্তেফাক পুরানো ঢাকায় চলমান অভিযান নিয়ে প্রতিবেদন ছেপেছে৷ এতে বলা হয়, ফায়ার সার্ভিসের একটি ভ্রাম্যমান আদালত গতকাল পুরানো ঢাকার জয়নাগ রোডে অভিযান চালিয়ে কেমিকেলের সাতটি গোডাউন ও একটি কারখানা সিলগালা করে দিয়েছে৷ আর প্রথম আলো'র প্রতিবেদনের বিষয়, রুনা-রত্নার বিয়ে৷ এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী আজ এই দুই বোনকে তুলে দেবেন তাদের স্বামীদের হাতে৷ এছাড়া তিনি দুই স্বামীর জন্য চাকরীর ব্যবস্থাও করে দেবেন বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে৷

বিশ্বকাপের খবর

প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাই বিশ্বকাপ কভার করতে লোক পাঠিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়৷ আর তাঁদের পাঠানো খবরগুলো বড় করে ছাপা হচ্ছে প্রথম পাতায়৷ যেমন কালের কন্ঠ বিশ্বকাপ নিয়ে দুটি প্রতিবেদন ছেপেছে৷ এর একটি ম্যান্ডেলাকে নিয়ে আর অন্যটি ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনাকে নিয়ে৷ ইত্তেফাক রিপোর্ট করেছে, ফিফা'র সভাপতি সেপ ব্লাটারের মন্তব্য নিয়ে৷ এবারের বিশ্বকাপটি সবচেয়ে সেরা হবে বলে মনে করেন ব্লাটার৷ ডেইলি স্টার ব্রাজিল দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি মজার রিপোর্ট ছেপেছে৷

দারিদ্র্য নিয়ে গবেষণা

প্রথম আলো বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরো'র করা একটি গবেষণা নিয়ে শীর্ষ সংবাদ প্রকাশ করেছে৷ এতে বলা হয়েছে যে, দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে লক্ষ-কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও এখনো কমছেনা গরিব লোকের সংখ্যা৷ এছাড়া বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্যও দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনটিতে৷ যেমন- দেশের ১৬ কোটি মানুষের ৭৫ শতাংশই এখনো বাস করছেন কাঁচাঘর আর ঝুপড়িতে৷ রাতের বেলায় প্রায় অর্ধেক পরিবার কেরোসিন প্রদীপ দিয়ে আলোর ব্যবস্থা করে থাকেন৷ আর বিনোদনের জন্য ৬০ শতাংশ পরিবারের নেই কোনো রেডিও বা টেলিভিশন৷ এছাড়া জরিপের ফলাফল নিয়ে দৈনিকটি কথা বলেছে কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে, যাঁরা এই তথ্যগুলো সমাজের বাস্তব চিত্রের প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়