1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনিশ্চয়তার যুগে জ্যোতিষশাস্ত্রের রমরমা

স্টেফানি ড্রেশার/এসবি২০ মার্চ ২০১৫

জ্যোতিষীর উপর ভরসা করেন কি? ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্বাস করেন? সংকটের সময় অনেক মানুষই কিন্তু কিছু একটা আঁকড়ে ধরে আশার আলো ধরে রাখার চেষ্টা করেন৷ অস্ট্রিয়ার এক জ্যোতিষী মানুষের আশা-ভরসার কথা শোনালেন৷

https://p.dw.com/p/1Etts
Orakel Horoskop Esoterik Pendel Tarot
ছবি: Fotolia/Photosani

হাজার-হাজার বছর ধরে নক্ষত্রমণ্ডল মানুষকে মুগ্ধ করে চলেছে৷ এমনকি আমাদের জীবনযাত্রার উপরও নাকি তাদের প্রভাব আছে৷ রাশিফল নিয়ে বিতর্ক সম্পর্কে গ্যার্ডা রজার্স বেশ সচেতন৷ অস্ট্রিয়ার এই তারকা জ্যোতিষীর নিজের রাশি ‘ক্যাপ্রিকর্ন'৷ রাশির আরেকটি অংশ ‘অ্যাসেন্ডেন্ট' – জন্মস্থান ও জন্মের সময়ের সঙ্গে সম্পর্কিত৷ গ্যার্ডা-র ক্ষেত্রে সেটি হলো ‘স্করপিয়ন'৷ ৭৩ বছর বয়স্ক এই জ্যোতিষীর মতে, সেই কারণে একদিকে তাঁর পা জমিতেই রয়েছে, অন্যদিকে আধ্যাত্মিকতার প্রতি টানও রয়েছে৷ গ্যার্ডা বলেন, ‘‘আমার কাছে জ্যোতিষশাস্ত্র মানেই মানুষের আত্মার ভিতরে উঁকি দেওয়া, তাদের চারিত্রিক প্রবণতা চিনতে পারা – সময়ের প্রেক্ষিতে মানুষটি ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাও চিহ্নিত করা৷ আমার মনে হয়, নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বা কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে জ্যোতিষশাস্ত্র সহায়তা করতে পারে৷''

গ্যার্ডা রজার্স জার্মানির বিভিন্ন পত্রপত্রিকার জন্য রাশিফল লেখেন৷ বিশেষ ক্ষেত্রে তিনি তারকাদের ভূত-ভবিষ্যতের দিকেও নজর দিতে ভালবাসেন৷ যেমন ২০১৪ সালে ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতায় কনচিতা ভুয়র্স্ট-এর জয়ের পূর্ববাণী করেছিলেন তিনি৷ জীবনের নানা ক্ষেত্রেই মানুষ জ্যোতিষশাস্ত্রের শরণাপন্ন হয়৷ গ্যার্ডা বলেন, ‘‘সব বয়সের, সব পেশার মানুষ আমার কাছে আসেন – পুরুষ-নারী, কিশোর-কিশোরী সবাই৷ এ নিয়ে আর কোনো ভণিতা নেই৷ ইদানীং লক্ষ্য করছি, অর্থনৈতিক সংকটের ফলে পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে৷ এখন বেশি পুরুষ আসছেন, অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করছেন৷''

Orakel Horoskop Esoterik Pendel Tarot
ছবি: Fotolia/Sonja Birkelbach

বিজ্ঞানে জ্যোতিষশাস্ত্রের কোনো ব্যাখ্যা নেই৷ তবে অনেকে স্বীকার না করলেও বলতেই হবে যে রাশিফলের একটা আকর্ষণ রয়েছে৷ ২০১২ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী জার্মানিতে ৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ এতে বিশ্বাস করেন৷ ২২ শতাংশের মনে আংশিক বিশ্বাস রয়েছে৷ অস্ট্রিয়ার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ তাঁদের রাশিফলে বিশ্বাস করেন৷ চার হাজার বছর আগে বিজ্ঞানীরা প্রথম জ্যোতিষশাস্ত্র ও মানুষের উপর সৌরজগতের প্রভাব যাচাই করার চেষ্টা করেছিলেন৷

এই জনপ্রিয়তার পেছনে কারণ কী? মিডিয়া সাইকোলজিস্ট ইয়ো গ্র্যোবেল বলেন, ‘‘তথ্য-পরিসংখ্যান অনুযায়ী জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি বিশ্বাস সত্যি বেড়ে গেছে৷ এর এমন অর্থ হতে পারে যে মানুষের ‘ওরিয়েন্টেশন'-এর অন্যান্য মানদণ্ড কমছে৷ তাছাড়া সংকটের সময়ে মানুষ আবার সুদিনের স্বপ্ন দেখে৷ তখন জ্যোতিষশাস্ত্র তার পূর্বাভাষ দিলে অথবা জীবনে আরও নিশ্চয়তা পেলে সবার মনে কিছুটা আশা জন্মায়৷''

প্রায় ৩০ বছর আগে ভিয়েনা শহরের কাছে গ্যার্ডা রজার্স জ্যোতিষী হিসেবে নিজের চেম্বার খুলেছিলেন৷ ৫০ ইউরো থেকে তাঁর পারিশ্রমিক শুরু৷ জন্মদিন, জন্মের সময় ও জন্মস্থান দিয়ে বিশেষ কম্পিউটার প্রোগ্রামের সাহায্যে তিনি কোষ্ঠী তৈরি করেন৷ তারপর তাঁর আসল কাজ শুরু হয় – অর্থাৎ সেই কোষ্ঠীর ব্যাখ্যা করেন তিনি৷ গ্যার্ডা বলেন, ‘‘২০১৫ সালকে আমি ইতিবাচক পরিবর্তনের সাল হিসেবে দেখছি – বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধ থেকে৷ তখন কন্যা রাশির ঘরে বৃহস্পতি প্রবেশ করবে৷ পায়ের নীচে আমরা আরও শক্ত মাটি পাবো৷ জীবনে আনন্দ আসবে৷''

এমন পূর্ববাণী অবশ্যই ইতিবাচক৷ গ্যার্ডা রজার্সের ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক ছিল কিনা, এক বছরের মধ্যেই তা আমরা জেনে যাবো৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য