নতুন দিল্লির নিয়মিত পাঠক সুভাষ চক্রবর্তীর লম্বা ই-মেলটির শুরু তিনি এভাবেই করেছেন৷ তাঁর পরের বক্তব্য এরকম, ‘‘সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে মৃত্যুদণ্ডের মতো নিষ্ঠুর এবং অস্বাভাবিক শাস্তি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আজও রয়েছে, কিন্তু বাস্তব এই যে মৃত্যুদণ্ড যেমন ছিল, এখনো আছে এবং এই শাস্তি একেবারে বন্ধ হবার সম্ভাবনা সুদূর প্রসারিত৷ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর ‘বিশ্ব' শিরোনামের পাতায় প্রতিবেদন এবং মৃত্যুদণ্ড: একদিকে মানবতা, অন্যদিকে রাষ্ট্র ও ধর্ম নিয়ে সংবাদভাষ্য বিচার বিভাগের কঠিনতম সিদ্ধান্তের দিকটিই তুলে ধরল৷
সুভাষ চক্রবর্তী আরো লিখেছেন,''
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
নিজের মতো করে খাওয়া
খাবার টেবিলে বসে সুন্দর করে খাওয়াটাও যে আসলে শিখতে হয় তা বোঝা যায় যখন পাশে বা কাছাকাছি কেউ খুব এলোমেলোভাবে, শব্দ বা তাড়াহুড়ো করে খায় তখন৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
জার্মানদের খাবার টেবিল
ছবিতে দেখুন জার্মানদের খাবার টেবিল৷ তবে এটা প্রতিদিনের খাবার টেবিল নয়, একটি অনুষ্ঠানের জন্য টেবিলটি সাজানো হয়েছে৷ কাঁটাচামচ, টেবিল চামচ, ছুরি, চায়ের চামচ – এ সব কি সুন্দরভাবে সাজানো রয়েছে প্লেটের তিন দিকে৷ তাই না? কোন চামচ দিয়ে কী খেতে হয়, যেমন জার্মানিতে ডান হাতে ছুরি আর বাঁ হাতে কাঁটাচামচ ধরা হয় – তাই ঠিক সেভাবেই রাখা হয়েছে এ টেবিলে৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
শব্দ না করে খাওয়া
খাবার টেবিলে ঠিকঠাক মতো ছুরি-কাঁটা দিয়ে খাওয়া জার্মানদের ভদ্রতার মধ্যেই পরে৷ এছাড়া মুখ দিয়ে শব্দ করে খাওয়া, ছুরি-কাঁটা ঠিক মতো ধরতে না পারা, চামচের শব্দ বেশি জোরে করা – এ সবই জার্মানদের কাছে অভদ্রতা বলে গণ্য হয়৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা
জার্মানিতে বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকে ছুরি-কাঁটাচামচ দিয়ে খাওয়া শেখানো হয়৷ তবে ছোট বাচ্চারা অনেক সময় শুধু চামচ দিয়ে খেতেই ভালোবাসে৷ হোক তা নিজের ঘর বা আকাশে উড়ন্ত অবস্থায়৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
এই প্রজন্মের জার্মানরা
বর্তমান যুগের ছেলে-মেয়েরা এ সব ব্যাপারে অনেকটাই শিথিল, অর্থাৎ পিৎসা, আলু ইত্যাদির মতো ‘ফিঙার ফুড’ হাত দিয়ে খেতেই ভালোবাসে তারা৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
চাইনিজ
ইউরোপ-অ্যামেরিকায় খাওয়ার সময় সাধারণত সকলেই কাঁটাচামচ, ছুরি অথবা টেবলচামচ ব্যবহার করে থাকে৷ তবে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে চামচ, চপস্টিক্স বা কাঠি অথবা শুধু হাত দিয়ে খাওয়ার চল আছে৷ চীনারা খেয়ে থাকে চপস্টিক্স বা চিকন দুটো কাঠি আঙুল দিয়ে ধরে৷ কাঠি দিয়ে তুলতে সুবিধার জন্য থালায় নয়, বাটিতে খেয়ে থাকেন তাঁরা৷ অন্যদের কাছে খাওয়ার এ রীতিকে হয়ত শিল্প বলেই মনে হবে৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
জাপানিজ
জাপানিরাও খাওয়ার সময় কাঠি ব্যবহার করেন৷ জাপানিদের বিশেষ খাবার ‘সুশি’ অবশ্য চাইনিজ খাবারের তুলনায় সহজেই চপস্টিক্স দিয়ে খাওয়া যায়৷ দেখলে অন্তত এমনটাই মনে হয়!
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
ভাতে মাছে বাঙালি
বাঙালিদের কাছে ভাত-মাছ খেতে হাত ব্যবহার না করলে মনে হয় যেন খাওয়াই হলো না, তাই না? সেকথা আর বাঙালিদের কাছে ঘটা করে বলা কিছু নেই৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
আফ্রিকাতেও হাত দিয়ে খাওয়া
আফ্রিকার দেশগুলোতেও কিন্তু বাঙালি বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারতের অন্যান্য কিছু অঞ্চলের মতো হাত দিয়ে খাওয়ার চল আছে৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
একসাথে বসে খাওয়া
একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করার মজা কিন্তু আলাদা৷ ছবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে একটি অনুষ্ঠানে সবাই মিলে রোদে বসে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছেন দেখুন৷ কেমন মজা, তাই না?
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
ইউরোপের অন্যন্য দেশের মানুষ
ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের মানুষই ছুরি, কাঁটাচামচ দিয়ে খান৷ তবে তুর্কিরা শুধু চামচ দিয়ে খেতেই পছন্দ করেন৷ তাঁদের খাবার অনেকটা বাঙালিদের মতো – টুকরো টুকরো করা মাছ, মাংস, সবজি সাথে ভাত বা নান-রুটি, যা এক হাতেই খাওয়া সম্ভব৷ ছবিটি জার্মানিতে একটি ইফতার পার্টির৷
-
বিভিন্ন দেশের খাওয়ার ধরন
হাত দিয়ে খাচ্ছেন বিদেশিরাও
প্রয়োজনে জার্মানরাও হাত দিয়ে খেতে পারেন৷ ভারতে কর্মরত এক জার্মান বললেন, ‘‘জার্মানিতে আমি ডান হাতে ছুরি আর বাঁ হাতে কাঁটাচামচ দিয়ে খেতাম, তবে বাঁ হাত ব্যবহার না করে একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু শুধু ডান হাত দিয়েও মানুষ সুন্দর করে গুছিয়ে খেতে পারে৷’’
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
বিভিন্ন দেশের খাবার রীতি-নীতি নিয়ে ১২টি তথ্য ভিত্তিক ছবির উপস্থাপনা আর
মোজা নিয়ে অন্যরকম কিছু তথ্য সহ ১৩ ছবির প্রদর্শনী ভালো লাগলো৷ শুভেচ্ছা রইলো সবার জন্য৷''
পরের মতামত জানিয়েছেন মো. নুরুজ্জামান ইসলাম মাদু জয়পুরহাট, বাংলাদেশ থেকে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের বিজ্ঞানীর দারুণ উদ্ভাবন, প্রতিবেদটি পড়ে খুব ভালো লাগল, এ ডিভাইজটি গাড়ি কোথায় আছে তা জানাতে সক্ষম, এটা একটি অসাধারণ আবিষ্কার, এটা ব্যবহারে গাড়ির মালিকে ফাঁকি দিয়ে ড্রাইভারের ভাড়া কামাই বন্ধ হবে৷''
- সবাইকে ধন্যবাদ৷ আবার লিখবেন কিন্তু! তারই অপেক্ষায় রইলাম আমরা৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ