1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অব্যবস্থাপনার কারণেই ঘটেছে চীনের কয়লা খনি দুর্ঘটনা

১ এপ্রিল ২০১০

উত্তর চীনের দুর্ঘটনা কবলিত কয়লা খনির নিরাপত্তার মান ঠিক ছিল না, ছিল অব্যবস্থাপনা৷ জানিয়েছে সে দেশের খনি নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ সংস্থা৷ শানশি প্রদেশের ঐ বিশাল খনি প্লাবিত হবার ফলে অভ্যন্তরে আটকা পড়ে আছে ১৫৩ জন খনি শ্রমিক৷

https://p.dw.com/p/MjlP
খনি শ্রমিকদের নিরাপত্তায় ঘাটতি রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছেছবি: AP

এই খনি শ্রমিকদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে৷

চীনে প্রায়শই ঘটছে খনি দুর্ঘটনা৷ এতে ফি বছর মারা যাচ্ছে অনেক মানুষ৷ তিনদিন আগে এমনি এক দুর্ঘটনা ঘটেছে শানশি প্রদেশের ওয়াংজিয়ালিং কয়লা খনিতে৷ খনিটিতে ভূগর্ভস্থ পানি প্রবল বেগে প্রবেশ করার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ এই খনি থেকে কয়লা উঠানোর প্রস্তুতি চলছিল৷

দুর্ঘটনা কবলিত খনি থেকে আটকা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রায় এক হাজার উদ্ধারকর্মী কাজ চালিয়ে আসছে৷ চীনের ন্যাশনাল ওয়ার্ক সেফটি এডমিনেস্ট্রেশনের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে সে দেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, এই খনির নিরাপত্তা, বিশেষ করে খনির অভ্যন্তর জলের তোড়ে প্লাবিত হবার বিষয়ে আগেই লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছিল৷ কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে বিশেষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ তারা খনি খনন পরিকল্পনায় ত্রুটির কথাও বলেছেন৷ আর এ জন্য খনি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন তারা৷ এই ওয়ার্ক সেফটি এডমিনেস্ট্রেশন জানিয়েছে,‘‘যখন খনিতে পানি প্রবাহ শুরু হলো, তখনই সকল শ্রমিককে উপরে উঠিয়ে আনা উচিৎ ছিল৷ কিন্তু এ সময় কোন পদক্ষেপই নেয়া হয়নি৷ ফলে আটকা পড়ে দেড়শ জনের বেশি শ্রমিক, তাছাড়া এই ত্রুটিটি আগে কয়েকবার ধরা পড়লেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ'৷

আটকা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের তৎপরতার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন কোন অবনতি না হয় সে জন্য নিয়োগ করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী৷

উদ্ধার কর্মীদের কাজ চলছে দিনে আট ঘন্টা করে তিন বেলা৷ বড় বড় পাম্প লাগিয়ে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করা হচ্ছে৷

বলা হচ্ছে, শানশি প্রদেশের ওয়াংজিয়ালিং কয়লা খনি থেকে যদি আটকা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব না হয়, তাহলে তা হবে গত ২০০৭ সালের পর চীনের সবচেয়ে বড় খনি দুর্ঘটনা৷ ২০০৭ সালের আগস্ট মাসে শানডং প্রদেশে এক খনি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল ১৭২ জন খনি শ্রমিক৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক