1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমাদের মেরে ফেলো

২০ অক্টোবর ২০১৫

ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সময় এখন আরো প্রতিকূল৷ জার্মানিতে আবার সমাবেশ করেছে পেগিডা৷ আবার পুড়েছে শরণার্থী শিবির৷ ক্রোয়েশিয়া-স্লোভেনিয়া সীমান্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অপেক্ষা করছে কয়েক হাজার মানুষ৷

https://p.dw.com/p/1Gqpg
Flüchtlinge am Wiener Bahnhof
ছবি: Reuters/L. Foeger

ক্রোয়েশিয়া-স্লোভেনিয়া সীমান্ত দুর্বিসহ সময় পার করছে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে আসা প্রায় ৮ হাজার মানুষ৷ শীত মৌসুমে দিন-রাত বৃষ্টিতে ভিজেও ইউরোপে প্রবেশের একটু সুযোগের অপেক্ষা করছেন তাঁরা৷ নারী-শিশুরাও সহ্য করছেন অবর্ণনীয় কষ্ট৷ ক্ষোভে-দুঃখে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সেখানে, ‘‘তোমরা আমাদের মেরে ফেলো'' স্লোগানও দিয়েছেন৷

তবে স্লোভানিয়া সরকার সীমান্তে আরো কড়াকড়ি আরোপ করতে চলেছে৷ সরকার জানিয়েছে, শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় ভবিষ্যতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও পুরোদমে মাঠে নামাবে তারা৷ এতদিন সেনাবাহিনী শুধু পুলিশের সহযোগী হিসেবেই কাজ করতো৷

জার্মানিতেও কোথাও কোথাও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দুর্ভোগ চরমে উঠছে৷

অভিবাসীবিরোধীরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে৷ শনিবার কোলনের মেয়র প্রার্থী হেনরিয়েটে রেকার সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন৷ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে পেগিডা সমর্থকরাই তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়৷ হামলা সত্ত্বেও হেনরিয়েটে রেকার অবশ্য প্রথম নারী হিসেবে কোলনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন৷

অভিবাসীবিরোধী সংগঠন পেগিডার ঘাঁটি বলে পরিচিত ড্রেসডেনের মানুষও অন্য দেশ থেকে আসা মানুষদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন৷ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে পেগিডা সেখানে বিশাল এক সমাবেশ করে৷

সমাবেশস্থলে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ডয়চে ভেলের জাফর আবদুল করিমসহ কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে পেগিডা সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ একসময় পুলিশও অভিবাসীবিরোধীদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে৷ তারপর আর পেগিডা বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চালাতে পারেননি৷

তবে পেগিডার প্রতি জার্মানির কয়েকটি অঞ্চলের কিছু মানুষের মধ্যে সমর্থন লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ এক সমর্থক টুইটারে ম্যার্কেল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ‘‘অভিবাসনপ্রত্যাশীদের টাকা না দিয়ে আমাদের সন্তানদের দাও৷''

সোমবার গ্যুডেনবার্গের একটি শরণার্থী শিবিরে রাতের আঁধারে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়৷ শরণার্থী শিবিরটির বাসিন্দারা মূলত বুলগেরিয়া এবং পোল্যান্ড থেকে আসা শ্রমিক শ্রেণির মানুষ৷ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তাঁদের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন৷

অবশ্য জার্মানির অধিকাংশ সাধারণ মানুষ এখনো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলেই ধারণা করা হয়৷ ড্রেসডেনেও পেগিডাবিরোধী সমাবেশ করে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রতি সহানুভূতির কথা জানিয়েছেন অনেকে৷

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য