1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিবাসীদের আশ্রয় প্রসঙ্গে ইটালি-ফ্রান্স মুখোমুখি

১৮ এপ্রিল ২০১১

আফ্রিকান অভিবাসীদের বহনকারী ইটালির ট্রেন আটকে দিল ফ্রান্স৷ তবে এর মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি লঙ্ঘন করেছে প্যারিস, এমন অভিযোগ রোমের৷

https://p.dw.com/p/10vGm
শরণর্থীর ঢল একা সামলাতে নারাজ ইটালিছবি: picture alliance/dpa

ইটালির রেল কর্তৃপক্ষ এবং সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভেন্টিমিগলিয়া-মেন্টন সীমান্তে ইটালির সকল ট্রেন আটকে দিয়েছে ফ্রান্স৷ এর প্রতিবাদ জানাতে ভেন্টিমিগলিয়া সীমান্তে বিক্ষোভ করেছে শত শত ইটালীয় নাগরিক৷ তারা ফ্রান্স বিরোধী স্লোগান দেয়৷ এমনকি মেন্টনে অবস্থিত ফরাসি কনসুলেট দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের চেষ্টা করে তারা৷

ঘটনার পরপরই ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্কো ফ্রাটিনি প্যারিসে নিযুক্ত ইটালির রাষ্ট্রদূতকে তাঁর দেশের পক্ষ থেকে এই ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন৷ ইটালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো ঐ প্রতিবাদে বলা হয় যে, ‘‘ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ অন্যায় এবং ইউরোপের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন৷''

Lampedusa Flüchtlinge Italien Europa Nordafrika
শরণর্থীর ঢল একা সামলাতে নারাজ ইটালিছবি: picture alliance/dpa

এছাড়া টিউনিশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার সংঘাতপূর্ণ দেশগুলো থেকে যে বিশাল সংখ্যক অভিবাসী ইটালির দক্ষিণের দ্বীপ লাম্পেডুসায় পাড়ি জমাচ্ছে তাদের চাপ মোকাবিলায় একা হয়ে পড়েছে ইটালি৷ ইউরোপীয় মিত্রদের কাছ থেকে এক্ষেত্রে কোন সহযোগিতা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে রোম৷

এদিকে, বিপুল সংখ্যক অভিবাসীর অনুপ্রবেশ মোকাবিলায় ইটালি তাদেরকে সাময়িক অনুমতিপত্র দিয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে৷ তবে ইটালির এই উদ্যোগের ঘোর বিরোধিতা করেছে ফ্রান্স ও জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশ৷ ইইউ'ভুক্ত অনেক দেশের আশঙ্কা, এতো বেশি সংখ্যক অভিবাসীকে আশ্রয় দিলে তা ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টাকে আরো বেশি উৎসাহিত করবে৷ অবশ্য ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, ঐ সীমান্তপথে ইটালির সাথে আবারও ট্রেন যোগাযোগ চালু হয়েছে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন