1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাপত্তা বাড়াবে জার্মানিতে

১৩ আগস্ট ২০১৬

প্রত্যাখ্যাত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আরো তাড়াতাড়ি বহিষ্কার করা থেকে শুরু করে, সন্ত্রাসের বিপদ থাকলে ডাক্তাররা যাতে রোগীদের গোপন তথ্য কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন, এ সবই থাকছে নতুন অ্যাজেন্ডায়৷

https://p.dw.com/p/1Jh5j
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld

খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী ইউনিয়ন বা সিডিইউ রাজনীতিক টোমাস ডেমেজিয়ের ঠান্ডা মাথার ও ঠান্ডা মেজাজের মানুষ বলে পরিচিত; তিনি চটজলদি কিছু করে বসেন না৷ ইতিপূর্বে ডেমেজিয়েরকে একাধিকবার বলতে শোনা গেছে, শতকরা একশ' ভাগ নিরাপত্তা বলে কিছু নেই এবং তিনি নতুন আইন প্রণয়নেরও কোনো প্রয়োজন দেখেন না৷

কিন্তু দক্ষিণ জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যে একটিমাত্র ‘‘রক্তাক্ত সপ্তাহে'' একের পর এক সহিংস ঘটনা – ভ্যুর্ৎসবুর্গে কুড়ুল নিয়ে আক্রমণ, মিউনিখে গুলিচালনা, আন্সবাখে আত্মঘাতী বোমাবাজি – ডেমেজিয়েরের ধৈর্যে দৃশ্যত ফাটল ধরিয়েছে৷ আরো বড় কথা, ঝানু রাজনীতিক হিসেবে ডেমেজিয়ের উপলব্ধি করেছেন যে, এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে একাধিক রাজ্য নির্বাচন ও আগামী বছরের চ্যান্সেলর নির্বাচনে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা একটি প্রধান বিষয় হয়ে উঠবে৷

বিষয়টি যে রাজনৈতিক, তা বোঝা যায় এ থেকে যে, ডেমেজিয়ার ও অপরাপর রাজ্যের সিডিইউ-সিএসইউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিলে আগামী ১৮ই আগস্ট একটি ‘‘বার্লিন ঘোষণা'' প্রকাশ করতে চলেছেন, যাতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বৃদ্ধির নানা প্রস্তাব থাকবে৷ ডেমেজিয়ার ও তাঁর সতীর্থরা বিভিন্ন টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নির্ঘণ্ট তৈরি করেছেন৷ অবশ্য জার্মান সংসদের উচ্চকক্ষ, অর্থাৎ রাজ্যসভার অনুমোদন ছাড়া এই কর্মসূচির বাস্তবে পরিণত হবার সম্ভাবনা কম৷

ডেমেজিয়েরের পরিকল্পনার একটি মূল সূত্র হবে, জার্মান নাগরিকত্ব বিহীন ব্যক্তিরা যদি ‘‘জনগণের নিরাপত্তার পক্ষে ঝুঁকি'' হয়ে ওঠেন, তবে তা বহিষ্কারের কারণ হিসেবে গণ্য হবে; যেমন যে সব বিদেশি ধর্মীয় নেতারা জার্মানিতে প্ররোচনামূলক ভাষণ দিয়ে থাকেন, দণ্ড হিসেবে তাদের শীঘ্র বহিষ্কার করা সম্ভব হবে৷ প্রশাসনিক দিকে রয়েছে আরো ১৫,০০০ নতুন পুলিশ নিয়োগ, এবং সেই পুলিশদের আরো ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করা৷ পুলিশকর্মীদের ব্যাপকভাবে বডিক্যামে সজ্জিত করা হবে৷ পরিবহণ ও প্রকাশ্য স্থানে ভিডিও নজরদারি বাড়ানো হবে৷ বোরখা ধারণ আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছেন রক্ষণশীল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা৷ সেই সঙ্গে দ্বিবিধ নাগরিকত্বের অন্ত ঘটানোর কথাও ভাবা হচ্ছে৷

অপরদিকে ডেমেজিয়েরের মন্ত্রণালয়ের সদ্য প্রকাশিত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে যে, চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ‘‘মুক্ত দুয়ার নীতি'' সত্ত্বেও জার্মানির সীমান্ত থেকে ক্রমেই আরো বেশি প্রবেশপ্রার্থীকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ ২০১৫ সালে সীমান্ত কর্মকর্তারা প্রায় ন'হাজার মানুষকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন; ২০১৬ সালের প্রথম ছ'মাসেই তেরো হাজারের বেশি মানুষকে সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ডিপোর্টেশন, অর্থাৎ বহিষ্কারের ক্ষেত্রেও, ২০১৫ সালে যেখানে মেট ২০,৮৮৮ জন মানুষকে জার্মানি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, ২০১৬-র প্রথম ছ'মাসে বহিষ্কার করা হয়েছে ১৩,৭৪৩ জনকে৷

বন্ধু, জার্মানি থেকে শরণার্থীদের বহিষ্কার করাকে কি আপনি সমর্থন করেন? লিখুন নীচের ঘরে৷

এসি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য