1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হত্যাকারীর স্ত্রী কী জানতেন?

১৫ জুন ২০১৬

৩০ বছর বয়সি নুর জাহি সালমানকে গ্র্যান্ড জুরির সামনে পেশ করার তোড়জোড় চলেছে৷ আর চলেছে হত্যাকারী ওমর মতিন-এর অভিপ্রায় বোঝার চেষ্টা৷ মতিনের কি সত্যিই সমকামী প্রবণতা ছিল?

https://p.dw.com/p/1J6mP
ওমর মতিনের ছবি
ওমর মতিনছবি: Imago/ZUMA Press

নুর সালমানের বিরুদ্ধে ৪৯ জনকে হত্যা ও আরো ৫৩ জনকে হত্যার প্রচেষ্টায় সহযোগী থাকার অভিযোগ আনতে চলেছেন সরকারি কৌঁসুলি ; সেই সঙ্গে থাকছে পুলিশকে সম্ভাব্য আক্রমণ সম্পর্কে না জানানো ও ফেডারাল এজেন্টদের প্রতি মিথ্যাভাষণের অভিযোগ৷ নুর নিজে তদন্তকারীদের বলেছেন যে, তিনি মতিনের সঙ্গে কথা বলে তাকে আক্রমণ চালানো থেকে বিরত করার চেষ্টা করেছিলেন৷

নুর এফবিআই এজেন্টদের আরো বলেন যে, তিনি মতিনকে একাধিকবার গাড়ি চালিয়ে ‘পালস' নাইটক্লাবে নিয়ে গেছেন, কেননা মতিন জায়গাটা চিনে রাখতে চেয়েছিলেন৷ নয়ত নুর আর ২৯ বছর বয়সি মতিনের একটি তিন বছর বয়সি পুত্রসন্তান আছে৷ নুর ক্যালিফর্নিয়ার মেয়ে, রোডিও নামের একটি ছোট্ট জায়গায় মানুষ হয়েছেন; ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত; সম্বন্ধ করে দেওয়া বিয়ে ছেড়ে মতিনকে বিয়ে করেন প্রেমে পড়ে৷ তবে সেই প্রেম শুরু হয়েছিল অনলাইনে, বলে জানিয়েছেন এক প্রতিবেশী৷ ওমার মতিন ছিলেন সিকিউরিটি গার্ড, বডিবিল্ডার ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান৷ উভয়ের বিয়ে হয় ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে৷

সারা বিশ্ব যখন অরল্যান্ডোর এলজিবিটি ডিসকোয় হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি সংহতি জানাচ্ছে, তখন তদন্তকারীদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, ওমার মতিন এই হত্যাকাণ্ড চালালেন কেন? মতিন নিজে তাণ্ডব চলার সময়েই ৯১১-য় টেলিফোন করে দাবি করেছিলেন যে, তিনি ইসলামিক স্টেটের সমর্থক৷ মতিনের প্রাক্তন স্ত্রী সিতোরা ইউসুফি ইতিপূর্বে বলেছেন যে, মতিন মানসিকভাবে অসুস্থ, কর্তৃত্বপূর্ণ ও বদরাগী ছিলেন; অপরদিকে মতিন নাকি নাইটক্লাবে যেতে ও নৈশজীবন উপভোগ করতে ভালোবাসতেন৷

পালস-এর কিছু নিয়মিত অতিথিরাও মতিনের এই এলজিবিটি নাইটক্লাবে একাধিকবার আসার কথা বলেছেন; এমনকি মতিন নাকি অনলাইনেও সমকামী সঙ্গির খোঁজ করেছেন৷ সব মিলিয়ে কিছু মনোবিজ্ঞানীর ধারণা যে, মতিন হয়ত নিজের সমকামিতা নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ভুগছিলেন – যদিও তিনি যে সমকামী ছিলেন, মতিনের পিতা সেদ্দিক মতিন সে-কথা অস্বীকার করেছেন৷

ওদিকে হিলারি ক্লিন্টন ডেমোক্র্যাটদের শেষ প্রাইমারিতে বিপুল ভোটে জয়লাভ করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন এখন ট্রাম্প ও ক্লিন্টনের লড়াইতে পরিণত হয়েছে, যে লড়াইতে ওবামা স্পষ্ট ও সোচ্চারভাবে হিলারির দিকে৷ তাই ট্রাম্পের মন্তব্য: ওবামা অরল্যান্ডো হত্যাকারীর উপর যতটা না বিরূপ, তার চেয়ে বেশি বিরূপ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি৷

এসি/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য