1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অসুস্থতার কারণে ছুটি

কার্লা ব্লাইকার/আরবি৩০ মার্চ ২০১৪

২০১৩ সালে জার্মানিতে কর্মজীবীদের মধ্যে অসুস্থতার হার রেকর্ড মাত্রা ছোঁয়৷ ১৯৯৯ সালের পর এরকম লক্ষ্য করা যায়নি৷ ঠাণ্ডাজনিত অসুখ-বিসুখই এর প্রধান কারণ৷ তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এর পেছনে আরো কারণ রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1BYJi
ছবি: Techniker Krankenkasse

এই তথ্য জানা গিয়েছে জার্মানির সর্ববৃহৎ সরকারি বিমা সংস্থা টেশনিকার ক্রাংকেনকাসে-র বাৎসরিক রিপোর্টে ৷ ২০১৩ সালে কর্মজীবীরা অসুস্থতার কারণে ছুটি নেন গড়ে ১৪.৭ দিন৷ ২০১২ সালের তুলনায় অর্ধেক দিন বেশি৷

বছরের প্রথম অর্ধেকে শ্বাসপ্রশ্বাসের রোগই বেশি দেখা গিয়েছে৷ জানান বিমা সংস্থাটির মুখপাত্র গাব্রিয়েলে বারোন৷ ২০১২ সালের তুলনায় সর্দিকাশি বা এই ধরনের অসুখবিসুখের কারণে কর্মচারীদের অনুপস্থিতির হার প্রায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়৷

তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ফলাফল

বিমা সংস্থাটি তার ৪০ লক্ষ সদস্যের তথ্য উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই ফলাফল পেয়েছে৷ বিভিন্ন ধরনের শ্রেণি ও পেশার মানুষ তাঁরা৷ বারোন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, গত বছর এক কর্ম দিবসে জার্মানির প্রায় চার শতাংশ মানুষ অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন৷

Gesundheit Erkältung Frau niest
ছবি: Fotowerk - Fotolia.com

এইভাবে অনুপস্থিতির হার বেড়ে গেলে প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর আর্থিক দিক দিয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷ বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ২০১২ সালে কর্মীদের অনুপস্থিতির কারণে জার্মানির অর্থনীতিতে ৫৩ বিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হয়৷ ২০১৩ সালে এই সংখ্যাটা আরো বেশি হবে৷

স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখা প্রয়োজন

এ কারণে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জন্য কর্মচারীদের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ অনেক প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে এ ব্যাপারে উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু তা পর্যাপ্ত ও সঠিক নয়৷ বলেন মাইনৎস-এর ইয়োহানেস গুটেনব্যার্গ ইউনিভার্সিটির কর্মমনস্তত্ত্বের প্রফেসর টোমাস রিগোটি৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, স্পোর্টস-এর কোর্স, পুষ্টিজ্ঞান এ সব ব্যাপারে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে, যা কর্মীরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজেরাই করতে পারেন৷ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যে সব বিষয়ে জোর দেওয়া উচিত, তা হলো কাজ কর্মের পরিবেশ, নেতৃত্বের সুষ্ঠু আবহ, প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ইত্যাদি৷ অথচ এসব বিষয়কে তেমন আমল দেওয়া হচ্ছে না৷''

গত বছর ঠাণ্ডা লাগার একটা ঢেউ উঠেছিল বলে মনে করা হলেও বিষয়টি আরো গভীরে বলে মনে করেন রিগোটি৷ মানসিক সমস্যাকে এখন আর ট্যাবু মনে করা না হলেও অনেকেই অনুপস্থিতির কারণ হিসাবে মানসিক অবসাদের কথা বলতে ভরসা পাননা৷ রিগোটি জানান, ‘‘সর্দিকাশির মতো সংক্রামক ব্যাধি স্ট্রেসের কারণেও হতে পারে৷ আমি যদি চাপের মধ্যে থাকি, তাহলে আমার ইমিউন সিস্টেমও দুর্বল হয়৷ ফলে অসুখ বিসুখ হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়৷''

মানসিক অসুখ বিসুখ বড় সমস্যা

ইউরোপের কর্মচারীদের মধ্যে স্ট্রেস, ডিপ্রেশন, ও ভীতির মতো মানসিক অসুখ বিসুখ দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বাস্থ্যগত সমস্যা৷ হাড় ও পেশির অসুখের পরেই৷ জার্মানির ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য৷

বিমা সংস্থা টেশনিকার ক্রাংকেনকাসে-র তথ্য অনুযায়ী ২০১২ সালে স্ট্রেস ও ডিপ্রেশনের কারণে ছুটি নিয়েছেন অনেক কর্মচারী৷ ২০১৩ সালেও মানসিক অসুখবিসুখের হার প্রায় একই রকম ছিল৷ তবে ঠাণ্ডা ও খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণে সর্দিকাশির হারটাও বেড়ে যায় গত বছর৷

গাব্রিয়েলে বারোন বলেন, ‘‘পরিসংখ্যানে দেখা গেছে তাপমাত্রা ওঠানামা করলেই ঠাণ্ডাজনিত অসুখবিসুখ বৃদ্ধি পায়৷ কর্মক্ষেত্রে স্ট্রেসকে পেছনে ফেলে ভিজতে ভিজতে বাড়িতে ফিরতে হলে সর্দিকাশির কাছে হার মানতেই হয়৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য