1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যান্টিবায়োটিকের বদলে মাশরুম?

আন্দ্রোয়াস নয়হাউস/এসবি৭ ডিসেম্বর ২০১৫

ব্যাক্টিরিয়া মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন৷ কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের বদলে ব্যাক্টিরিয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতা অকেজো করে দিলে কেমন হয়? জার্মান বিজ্ঞানীরা ঠিক এই দিশায় কাজ করছেন৷

https://p.dw.com/p/1HIPH
Neues Bakterium entdeckt MCR-1 Antibiotikaresistenz
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Becker

ছত্রাক অবশ্যই রয়েছে৷ কিন্তু রসায়নবিদ স্টেফান সিবার তা থেকে আশ্চর্য কোনো অ্যান্টিবায়োটিক তৈরির সম্ভাবনায় আর বিশ্বাস করেন না৷ কারণ জীবাণু বার বার মাশরুম থেকে নিঃসারিত পদার্থ শনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে৷ মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেফান সিবার বলেন, ‘‘আমরা ছত্রাকের মধ্যে কোনো পদার্থ খুঁজছি না, বরং একেবারে নতুন পথে এগোচ্ছি৷ প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের বাইরে একেবারে নতুন রাসায়নিক অ্যাক্টিভ এজেন্টের খোঁজ করছি৷''

বিজ্ঞানীরা জানতে চান, ঠিক কোন বিষয়টি জীবাণুকে এত বিপজ্জনক করে তোলে৷ ব্যাক্টিরিয়ার বিষাক্ত পদার্থ ও টক্সিন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে৷ চাপের মুখে পড়লে ব্যাক্টিরিয়া বিশেষভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেফান সিবার বলেন, ‘‘ব্যাক্টিরিয়া মেরে ফেললে তারা সব রকম পথের খোঁজ করে৷ তাকেই প্রতিরোধ বলা হয়, তখন তাদের আর মারা যায় না৷ এই অবস্থায় আপনিও ঠিক তাই করতেন৷ চাপের মুখে পড়লে আপনিও নতুন পথের খোঁজ করতেন৷ আমাদের চেষ্টা হলো, ব্যাক্টিরিয়া যাতে অ্যাক্টিভ এজেন্ট, টক্সিন তৈরি করতেই না পারে, তা নিশ্চিত করা৷''

নতুন এই প্রচেষ্টার মূলে রয়েছে এক প্রোটিন৷ এই প্রোটিন ব্যাক্টিরিয়ার মধ্যে বিষ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে৷ সিবার-এর টিম এমন এক পদার্থ খুঁজে পেয়েছে, যা সেই প্রোটিনকে বাধা দেয় এবং ব্যাক্টিরিয়াকে বিষ সৃষ্টি করতে দেয় না৷ গবেষকরা ল্যাবে ইঁদুরের উপর এই প্রক্রিয়া প্রয়োগ করেছেন৷ স্টেফান সিবার বলেন, ‘‘উপরের ইঁদুরটি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছে৷ কারণ ব্যাক্টিরিয়ার অস্ত্র দ্রুত কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷ ফলে আমাদের মতে, ইমিউন সিস্টেম ধীরে ধীরে ব্যাক্টিরিয়া দূর করেছে৷ ফোড়াকে বড়ই হতে দেওয়া হয় নি৷ অন্যদিকে যে ইঁদুরটির চিকিৎসা হয় নি, সেটি তার ফোড়া মোকাবিলা করার ক্ষমতা না থাকায় মারা যেতে পারে৷''

এই প্রক্রিয়া সফল হয়েছে৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো, ব্যাক্টিরিয়া কি অ্যান্টিবায়োটিকের মতো এ ক্ষেত্রেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শিখে যাবে? স্টেফান সিবার বলেন, ‘‘এখানে আমরা সহজে সেই সব ব্যাক্টিরিয়া দেখাচ্ছি, অ্যান্টিবায়োটিক যেগুলিকে দূর করে৷ লাল দাগ দিয়ে তা চিহ্নিত করছি৷ এমনও হতে পারে, যে এদের মধ্যে একটি ব্যাক্টিরিয়া স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধের মাধ্যমে বেঁচে গেল৷ তখন সেটি বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ ব্যাক্টিরিয়ার সেই নতুন ঝাঁক আগের মতোই বিষ উগরে দেবে, সংক্রমণ ঘটাবে৷ আমাদের কৌশল কাজে লাগিয়ে আমরা প্রতিরোধ শক্তি অকেজো করে দিয়েছি৷ শুধু থেকেই ব্যাক্টিরিয়ার উপর একটা স্তর দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে, যাতে বিষাক্ত পদার্থ সৃষ্টি করা সম্ভব না হয়৷ তখন অ্যান্টিবায়োটিকের মতো রেজিস্টেন্স গড়ে উঠবে না৷''

নতুন অ্যান্টিবায়োটিক পাবার আশা না করলেও স্টেফান সিবার জঙ্গলে ছত্রাক খুঁজে চলেছেন৷ স্টেফান সিবার বলেন, ‘‘আমি ল্যাবের জন্য ছত্রাক খুঁজছি না৷ রান্নাঘরের জন্য খুঁজছি, কারণ তার দারুণ স্বাদ৷''

স্টেফান সিবার-এর আশা, ব্যাক্টিরিয়া মোকাবিলায় তাঁর প্রক্রিয়া হয়তো ১০ বছরেই রোগীদের সাহায্য করতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য