1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যান্টি-আর্থ্রাইটিস প্রোটিন

কার্লা ব্লাইকার/আরবি৯ এপ্রিল ২০১৪

শরীরের জয়েন্টে জ্বালাপোড়া, হাত পা ফুলে যাওয়া নড়াচড়ায় অসুবিধা এগুলো হলো রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগের লক্ষণ৷ এটি একটি অটো-ইমিউন অসুখ৷ অর্থাৎ শরীরের প্রতিরোধ শক্তি নিজেকেই আক্রমণ করে বসে৷

https://p.dw.com/p/1BdkU
Tierversuche in Deutschland
ছবি: picture alliance/Rolf Kremming

ইমিউন সিস্টেম দ্বারা কানেকটিভ টিসু নষ্ট হয়ে গেলে আর্থ্রাইটিস বা বাত দেখা দিতে পারে৷ জার্মানিতে ৮০০,০০০ – অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ মানুষ এই রোগের শিকার৷

মাক্স প্লাঙ্ক ইন্সটিটিউটের ইমিউন বায়োলজির গবেষকরা এমন একটি বিষয় আবিষ্কার করেছেন, যা আর্থ্রাইটিস তথা অটো-ইমিউন অসুখবিসুখের ধরনধারণ বুঝতে সহায়তা করে৷

Rheumatoide Arthritis
বি-সেল-এর এখানে বড় ভূমিকা রয়েছেছবি: picture-alliance/Okapia

উত্তেজক সংকেত থেকে প্রতিক্রিয়া

মলিকিউল জীববিজ্ঞানী মিশায়েল রেট-এর পরিচালনায় গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, উত্তেজক সংকেত পেলে দেহের সেল বা কোষে দ্রুত প্রতিক্রিয়া হয়৷ আর এ থেকে রোগব্যাধি হতে পারে৷

শ্বেত রক্তকণিকার অন্তর্গত বি-লিম্ফোজাইটেন বা বি-সেলে পিটিপি১বি নামের প্রোটিনের অভাব ঘটলে এমন হয়ে থাকে৷ এই প্রোটিন দুর্বল বা কম পরিমাণে থাকলে শরীরের প্রতিরোধী শক্তিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় এবং সুস্থ টিসুকে আঘাত হানে৷

‘‘আশ্চর্যের ব্যাপার হলো বি-সেল-এর এখানে বড় ভূমিকা রয়েছে৷ এর আগে আমরা মনে করেছিলাম এটি সক্রিয় হলে অ্যান্টিবডি প্রস্তুত করে৷ এখন আমরা বের করেছি এটি ইমিউন সিস্টেমেও শক্তিশালী এক ভূমিকা রাখে৷''

বি-সেলকে এক ধরনের গেটকিপার বলা যায়৷ এটি শক্তিশালী থাকলে বিষাক্ত সংকেতের বিস্তৃতি রোধ করে৷ এইভাবে এটি দেহকে নিজের সেলকে আক্রমণ করা থেকে প্রতিহত করে৷ যেভাবে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ দেখা দেয়৷ এই প্রোটিনের কর্মকাণ্ড বের করা একটা বিশেষ আবিষ্কার৷ কিন্তু তা থেকে আর্থ্রাইটিসকে নিরাময় করা এখন পর্যন্ত সম্ভব নয়৷ এজন্য এই প্রোটিনকে কৃত্রিমভাবে উদ্দীপ্ত করতে হবে, যে পদ্ধতি এখন পর্যন্ত বের হয়নি৷

প্রতিরোধকমূলক পদার্থ আবিষ্কার করা সহজ

ফার্মাসিউটিক্যাল বা ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলি প্রতিরোধকমূলক বিভিন্ন উপাদান তৈরি করতে পেরেছে৷ কিন্তু প্রোটিনকে রোগীর দেহে উদ্দীপিত করার মতো পদ্ধতি এখনও বের হয়নি৷ কোনো কিছুকে তার কার্যকারিতায় বাধা দেওয়া গবেষকদের জন্য কোনো সমস্যাই নয়৷ কিন্তু প্রোটিনের মতো কোনো কিছুকে শক্তিশালী করা কঠিন কাজ ৷

প্রোটিনের সংখ্যা অসংখ্য৷ প্রতিটি পরীক্ষা করে সংক্রমণ-উদ্দীপক পদার্থ বের করা গবেষকদের পক্ষে সহজ নয়৷ পিটিপি১বি-প্রোটিন রেট ও তাঁর টিম হঠাৎ করেই আবিষ্কার করেন৷

তাঁরা এক ধরনের ইঁদুর নিয়ে কাজ করতে গিয়ে পিটিপি১বি-প্রোটিন-এর কার্যকর গুণাগুণ আবিষ্কার করেন৷ এই ইঁদুরগুলি আবার অন্য একটি গবেষণাগ্রুপ কালচার করেছিল৷ এই প্রাণীগুলিকে জেনেটিক দিক দিয়ে এমনভাবে পরিবর্তন করা হয়, যার ফলে বিজ্ঞানীরা বি-সেল থেকে পিটিপি১বি-প্রোটিনকে আলাদা করতে পারেন৷

বিজ্ঞানী রেট বলেন,‘‘আমরা ভাবলাম এটা নিয়ে পরীক্ষা করেই দেখা যাক না! আমরা শুধু জিনিসটি পেয়েছিলাম৷ পরে এটি থেকে প্রকল্পটি গড়ে ওঠে৷''