1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো পিয়ং ইয়ং

৫ জুলাই ২০১৭

প্রথম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য মার্কিন স্বাধীনতা দিবসের দিনটি বেছে নিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন৷ তিনি বলেন, অ্যামেরিকানদের জন্য এটা স্বাধীনতা দিবসের উপহার৷

https://p.dw.com/p/2fwGA
হোয়াসং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র
ছবি: Getty Images/AFP/KCNA

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বুধবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত৷ তাদের দাবি, বড় আকারের পরমাণু বোমা বহন করতে সক্ষম ‘হোয়াসং-১৪' নামের এই ক্ষেপণাস্ত্র৷ ২,৮০২ কিলোমিটার ‘ক্রুজিং' উচ্চতায় পৌঁছতে পারে সেটি৷ ৯৩৩ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে জাপান সাগরে ফেলা হয়েছে সেটিকে৷ অর্থাৎ মার্কিন ভূখণ্ডেও আঘাত হানতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র৷ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন অত্যন্ত কটু ভাষায় এই পরীক্ষাকে অ্যামেরিকানদের জন্য স্বাধীনতা দিবসের উপহার হিসেবে বর্ণনা করেন৷ তাদের ‘একঘেয়েমি' দূর করতে মাঝে মধ্যে আরও এমন উপহার পাঠানোর কথা বলেন তিনি৷

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছেন, উত্তর কোরিয়ার এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সফল হয়েছে৷ মার্কিন সেনাবাহিনী ২৭ মিনিট ধরে সেই ক্ষেপণাস্ত্রের যাত্রাপথ পর্যবেক্ষণ করেছে৷ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ধারণা, এই ক্ষেপণাস্ত্র ৭,০০০ থেকে ৮,০০০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিতে সক্ষম৷ কিছু মার্কিন বিশেষজ্ঞের মতে, বছর দুয়েকের মধ্যে উত্তর কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করতে পারবে

টিলারসন আন্তর্জাতিক সমাজের উদ্দেশ্যে উত্তর কোরিয়ার উপর আরও চাপ সৃষ্টি করার ডাক দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, যেসব দেশে উত্তর কোরিয়ার অতিথি শ্রমিক কর্মরত রয়েছে, যারা সে দেশকে অর্থনৈতিক ও সামরিক সুবিধা দেয় অথবা নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব পুরোপুরি কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা এক বিপজ্জনক প্রশাসনকে মদত দিচ্ছে৷

টিলারসন নাম উল্লেখ না করেও চীন ও রাশিয়ার উদ্দেশ্যে এই বার্তা পাঠালেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ মস্কোয় এই দুই দেশের শীর্ষ নেতারা সব পক্ষের উদ্দেশ্যে সংযমের ডাক দিয়েছেন৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও বিষয়টি উত্থাপন করতে চলেছে ওয়াশিংটন৷

এমন হুমকির মুখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াও হাত গুটিয়ে বসে নেই৷ দুই দেশ এক যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে৷ পূর্ব সাগরে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তারা পিয়ং ইয়ং সরকারের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা পাঠিয়েছে৷ উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহেই উত্তর কোরিয়ার প্রশ্নে বলেছেলিন যে, তাঁর প্রশাসনের ‘কৌশলগত ধৈর্য' শেষ হয়ে গেছে৷ চীন এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ চলতি সপ্তাহে জার্মানিতে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য