1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামেরিকার বাইরে পা রাখলো বোয়িং-এর ড্রিমলাইনার

১৮ জুলাই ২০১০

বিমান তৈরির মার্কিন কোম্পানি বোয়িং-এর নতুন মডেলের ‘ড্রিমলাইনার’ নামের একটি বিমান আজ প্রথমবারের মত অ্যামেরিকা ছেড়ে লন্ডনে এসেছে৷ তবে এটি বাণিজ্যিক কোনো ফ্লাইট ছিলনা৷ একটি বিমান শো’তে অংশ নিতেই ড্রিমলাইনারের লন্ডন যাওয়া৷

https://p.dw.com/p/OOQr
বোয়িং-এর ড্রিমলাইনার বিমানছবি: AP

বোয়িং বলছে, বিমানটি তৈরিতে প্রথমবারের মত ব্যবহৃত হচ্ছে হালকা কম্পোজিট উপাদান৷ ফলে প্রায় ২০ শতাংশ জ্বালানির সাশ্রয় হবে বলে দাবি বোয়িং-এর৷ অর্থাৎ বলা যায়, বিশ্বের প্রথম পরিবেশ বান্ধব বিমান হলো এই ড্রিমলাইনার৷

প্রথমে কথা ছিল, ২০০৮ সালের শুরুতে প্রথম ক্রেতার হাতে বিমানটি তুলে দেয়া হবে৷ কিন্তু নানা কারণে সেটা সম্ভব হয়নি৷ এরপর তারিখ নির্ধারণ হয় এ বছরের শেষে৷ কিন্তু এবারও বোয়িং বলছে, হয়তো এ সময়ের মধ্যে বিমান হস্তান্তর করা সম্ভব নাও হতে পারে৷ তাই তারা ইতিমধ্যে নতুন তারিখ ঠিক করে ফেলেছে, এবং সেটা হলো আগামী বছরের প্রথম দিকে৷ জাপানের অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ হলো ড্রিমলাইনারের প্রথম ক্রেতা৷ এ পর্যন্ত ৮৬০টি ড্রিমলাইনার তৈরির অর্ডার পেয়েছে বোয়িং৷ ২১০ থেকে সর্বোচ্চ ৩৩০ জন যাত্রী ধারণ করতে পারবে দূর পাল্লার এই বিমানটি৷

এদিকে মার্কিন কোম্পানি বোয়িং-এর ইউরোপীয় প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাস তাদের নতুন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে৷ এই প্রকল্পের আওতায় ‘এ৩৫০ এক্সডব্লিউবি' নামের দূর পাল্লার একটি বিমান তৈরির চেষ্টা করছে এয়ারবাস৷ উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী বিমান তৈরির কৃতিত্ব আছে এই এয়ারবাস কোম্পানির৷ দুই তলা বিশিষ্ট এ৩৮০ নামের বিমানটি সর্বোচ্চ ৮৫৩ জন যাত্রী বহন করতে পারে৷

বোয়িং আর এয়ারবাস – দু'টি কোম্পানিই অংশ নিচ্ছে লন্ডনের ঐ বিমান শো'তে৷ সপ্তাহব্যাপী এই মেলা আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন