1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারী নেতৃত্ব মানতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র

৯ নভেম্বর ২০১৬

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ অধিকাংশ মিডিয়ার পূর্বাভাস পাল্টে দিয়ে তাঁর এই জয়ে অবাক বিশ্ববাসী৷ বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারকারীরাও নির্বাচনের ফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/2SOf1
ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Getty Images/S. Platt

ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এসএমডি আহমেদ৷

রনি লিখেছেন, ট্রাম্প আবারও বাংলাদেশকে গর্বিত করলেন৷ তাঁর এই মন্তব্যের প্রমাণ হিসেবে তিনি টুইটারে একটি শার্টের ছবি শেয়ার করেছেন যেখানে লেখা আছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ'৷ আর শার্টটির ব্র্যান্ড হচ্ছে ‘ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প সিগনেচার কালেকশন'৷

আলভি আজম লিখেছেন, মার্কিন জনগণের প্রতি তাঁর আস্থা ছিল যে তাঁরা ট্রাম্পকেই বিজয়ী করবেন৷

তবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে এত আলোচনার বিষয়ে কিছুটা আপত্তি দেখা গেল নিয়াজ পারভেজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে৷ এ সব না করে নিজেদের অভ্যন্তরীণ নানান সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷ পারভেজ লিখেছেন, ‘‘আম্রিকার নির্বাচনের ঝড় আমার দেয়াল জুড়ে৷ ক্লিয়ার কাট একটা কথা কই – অতি ক্ষুদ্র মাথাতে এইটুকু বুঝি – আম্রিকায় কে প্রেসিডেন্ট হইলো তাতে উহার বেসিক নীতির তেমন কোনো ফারাক হয় না৷ যাহা বাহান্ন, তাহাই ট্রাম্প৷ শুধুমাত্র একজন প্রেসিডেন্ট আম্রিকা চালায় না; বরং আম্রিকা যারা চালায়, তারা পিছনে থাকে; আর তাগো এইসব চালাচালির জন্যে প্রেসিডেন্ট হওয়োন লাগে না রে অবুঝ! ....ভাইগো, এইসব ছাইড়ে ছুইড়ে নিজগো দিকে তাকা!....এক দৌড়ে গোবিন্দগঞ্জ ঘুরে আয়; সাঁওতালগো সাথে একটু নাচানাচি করে আয়, নাইলে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া যা৷'' পারভেজের এই স্ট্যাটাসটি ফেসবুকের ‘শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ' পাতা থেকে শেয়ার করা হয়েছে

ট্রাম্পের বিজয় থেকে আন্তর্জাতিক বিশ্ব কী আশা করতে পারে তার একটি ধারণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বিশ্ব এমন এক নেতার নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবে যিনি আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মনীতি নিয়ে বেশি ভাবেন না৷ যুক্তরাষ্ট্র তার বন্ধুরাষ্ট্রদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে৷ ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত, এমন ধারণার ভিত্তিতে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ধারিত হতে পারে৷''

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত গোধুলী খান লিখেছেন, ‘‘আমেরিকা নারী নেতৃত্ব মেনে নেওয়ার মতো উদার হতে পারেনি৷ ওরা বাংলাদেশিদের থেকে হাজার মাইল পিছনে৷'' প্রায় একই রকম মন্তব্য করেছেন ভুইয়া মুহাম্মদ ইনাম লেনিন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘গতকালই বলছিলাম, এবারের অ্যামেরিকার নির্বাচনে ট্রাম্প জিতবে৷ কারণ অ্যামেরিকানরা মনে মনে ‘নারী' নেতৃত্ব পছন্দ করে না! অভিনন্দন ট্রাম্প!'' জসিম আহমেদ লিখেছেন, ‘‘ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন মন্দ লোক হওয়া সত্ত্বেও সে নির্বাচনে জিতেছে৷ এতেই বোঝা যায় যে, অ্যামেরিকার জনগণ নারী নেতৃত্ব চায় না৷ অথচ সেই অ্যামেরিকানরাই বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোতে নারী অধিকার নিয়ে বড় বড় কথা বলে৷''

আবু জাফর মনে করছেন ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বসবাসের জন্য বাংলাদেশ ভালো হবে৷

এদিকে, ডয়চে ভেলে বাংলার ফেসবুক পাতায় জলিলুর রহমান লিখেছেন, ‘‘ট্রামের বিজয় থেকে এটাই বোঝা যায় যে, আমেরিকানদের মনের কোনো এক জায়গায় সেই উগ্রবাদী আর বর্ণবাদী মনোভাব রয়েই গেছে৷'' হেলাল হোসেন লিখেছেন, ‘‘আমি আগে থেকেই বলে আসছি ট্রাম্প জিতব কারণ তাঁর প্রতিদন্দ্বী নারী মার্কিনিরা নারীদের ক্ষমতায় বিশ্বাসী নয়৷'' আর মাহফুজ রহমান লিখেছেন, ‘‘আমেরিকানরা যে প্রকৃত সন্ত্রাসী তা বুঝিয়ে দিলো৷''

নভেম্বরের ৯ তারিখে ট্রাম্পের বিজয়ের সঙ্গে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনা দু'টি একসঙ্গে মিলিয়ে সৈয়দ ফায়েজ আহমেদ লিখেছেন, ‘‘৯/১১-এর পরে এবার ১১/৯৷ গেট রেডি গাইস অ্যান্ড ফাস্টেন ইউর সিট বেল্ট৷''

ট্রাম্পের বিজয়ে বাংলাদেশের নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস ও খালেদা জিয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করেন রেদোয়ান মাসুদ৷ মো. জাকির হোসেন লিখেছেন, ‘‘গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের অন্যতম ডোনার মি. ইউনূসকে৷''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য