1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএমএফ প্রধানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর

১৭ মে ২০১১

একেই বলে হিরো থেকে জিরো হওয়া৷ মুহূর্তের মধ্যেই কীভাবে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এক ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ীর পর্যায়ে নেমে আসেন তার উদাহরণ হলেন আইএমএফ’এর প্রধান দোমিনিক স্ট্রাউস কান৷

https://p.dw.com/p/11HU2
ছবি: AP

আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করায় তাঁকে এখন কয়েকটি রাত কাটাতে হবে নিউ ইয়র্কের একটি কারাগারে৷

জামিন আবেদন

জামিনের বিনিময় কান এক মিলিয়ন ডলার দিতে চেয়েছিলেন৷ আর জামিন পেলে যে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পালিয়ে যাবেন না সেটা নিশ্চিত করতে ভ্রমণ সংক্রান্ত সব ধরণের কাগজপত্র জমা দিতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু বিচারক তাঁর কথা না শুনে সেই আবেদন নামঞ্জুর করে দেন৷ এবং আগামী শুক্রবার পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত ডিটেনশন সেন্টারে থাকার নির্দেশ দেন৷ শুনানির সময় সাংবাদিকদের এড়াতে কান যথাসাধ্য চেষ্টা করেন৷ কিন্তু ফটোগ্রাফারদের লম্বা লেন্স তাকে ঠিকই তাড়া করেছে৷

অভিযোগটা কী?

চার্জশীট বলছে, হোটেলের যে কর্মীর সঙ্গে কান যৌনকর্ম করতে চেয়েছিলেন তিনি ৩২ বছর বয়সের এক কৃষ্ণাঙ্গ নারী৷ কেউ নেই, এই ধারণা থেকে তিনি কানের রুমে ঢুকেছিলেন৷ এরপর যেন তিনি আর বেরোতে না পারেন সেজন্য রুমের দরজা বন্ধ করে দেন আইএমএফ প্রধান৷ তারপর অনুমতি না নিয়েই তিনি ঐ নারীর দেহের স্পর্শকাতর দুটি অংশে হাত দেন৷ এছাড়া অন্যান্য যৌন আগ্রাসনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশীটে৷

আইএমএফ'এর পরবর্তী প্রধান

ইতিমধ্যে এ নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়ে গেছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এটা শুরু করেছেন৷ পরে তাতে যোগ দেন বেলজিয়ামের অর্থমন্ত্রী৷ কিন্তু লাক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী, যিনি ইউরোজোনেরও প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, সেই জাঁ-ক্লোদ ইয়ুঙ্কার এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ এছাড়া আইএমএফ'এর প্রধান ইউরোপ থেকেই নির্বাচিত হওয়া উচিত নাকি উদীয়মান অর্থনীতির কোনো দেশ থেকে, সেটা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গেছে৷ উল্লেখ্য, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ইউরোপীয়রাই আইএমএফ'এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছে৷ এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক সময়ই এর প্রধান ছিলেন একজন ফরাসি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী