1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে আইএস নিয়ে উদ্বেগ

সমীর কুমার দে, ঢাকা২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

এতদিন জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের তেমন কোনো কর্মকাণ্ডের কথা শোনা যায়নি বাংলাদেশে৷ কিন্তু এবার, এক বিদেশি নাগরিক হত্যার দায় স্বীকারের মাধ্যমে তাদের তৎপরতার খবর পাওয়া গেছে৷ ‘‘ভূ-রাজনৈতিক কারণেই আইএস নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে৷''

https://p.dw.com/p/1Gf91
Symbolbild IS Soldaten
ছবি: picture alliance/ZUMA Press/Medyan Dairieh

দু'দিন আগে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে বাংলাদেশে ক্রিকেট দল পাঠাতে বিলম্ব করেছে অস্ট্রেলিয়া৷ আর তাদের ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা টিমের প্রধানের ঢাকা ত্যাগ করার আগেই কূটনৈতিক এলাকায় খুন হয়েছেন ইটালির এক নাগরিক৷ খুনের কয়েক ঘণ্টা পরই হত্যার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর জঙ্গিরা৷ আর হত্যাকাণ্ডের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ক্যানাডাসহ বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে সেই সব দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷

এই ঘটনাগুলোর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে ধারণা র‌্যাব-এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসানের৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে জঙ্গিদের কোনো ধরনের তৎপরতা নেই৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে তাদের অবস্থানও খুব দুর্বল৷ বাংলাদেশে নাশকতা করার মতো শক্তিও এখন তাদের নেই৷ কিন্তু হঠাৎ করে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে না আসা, গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় ইটালীয় নাগরিকের খুন হওয়া, আইএস-এর দায় স্বীকার ও প্রভাবশালী কয়েকটি দেশের জনসাধারণের চলাচলের উপর সতর্কতা জারি – বিষয়গুলো স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না৷ এর পেছনে কোনো স্যাবোটাজ (ষড়যন্ত্র) থাকতে পারে বলেই আমার মনে হচ্ছে৷ আমরা সেগুলো বের করার চেষ্টা করছি৷''

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া যে কাজটি করেছে সেটা করা তাদের মোটেও উচিত হয়নি৷ কথা নেই, বার্তা নেই, হঠাৎ করে তারা নিরাপত্তা শঙ্কার কথা মিডিয়ায় জানিয়ে ক্রিকেট দল বাংলাদেশে পাঠালো না৷ এটা না করে তারা বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারতো৷ আমার মতে, জঙ্গিরাও এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে থাকতে পারে৷ কারণ এখন বাংলাদেশে জঙ্গিদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে৷ অর্থাৎ কিছু করলে প্রচারও পাওয়া যাবে বেশি৷ ফলে অস্ট্রেলিয়ার এই আচরণ জঙ্গিদের উৎসাহিত করতে পারে৷ সারা বিশ্বে ইসলামিক স্টেট বা অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর যে তৎপরতা রয়েছে, বাংলাদেশে তা তাই৷ এখন আসলে সবাইকে ঠিক করতে হবে, কিভাবে এই জঙ্গিদের মোকাবেলা করা যায়৷ সব কিছু কেমন যেন হঠাৎই ঘটে যাওয়ায়৷ এর পেছনে ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে৷''

Quadriga - Inside IS - The Structure of Terror

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড (ডিএফএটি) বাংলাদেশে ভ্রমণের বিষয়ে সতর্কতা জারি করে৷ ডিএফএটি-র ওয়েবসাইটে দেয়া নোটিসে বলা হয়, জঙ্গিরা বাংলাদেশে ‘অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থের ওপর' আঘাত হানার পরিকল্পনা করছে – এমন ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য' তাদের হাতে রয়েছে৷ এরপরই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শন ক্যারল বাংলাদেশে এসে দফায় দফায় বৈঠক করেন সরকারের মন্ত্রী, শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে৷

এ সব ঘটনার মধ্যেই সোমবার রাতে গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় খুন হন ইটালির নাগরিক তাবেলা সিজার৷ তিনি নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আইসিসিও বাংলাদেশ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রুফস প্রকল্পের ব্যবস্থাপক বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ৷ আইসিসিও সারা বিশ্বে খাদ্যনিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে কাজ করে৷ এই খুনের পর রাতেই নিজেদের ওয়েবসাইটে হত্যার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় আইএস৷ অবশ্য তার আগেই, অর্থাৎ হত্যাকাণ্ডের পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডাসহ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে ঐ সব দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দেয়া হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান