1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএস-বিরোধী লড়াইয়ে তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র

২৮ জুলাই ২০১৫

ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের বিমান হামলায় এতদিন অংশ না নিলেও অবশেষে অবস্থান থেকে সরেছে তুরস্ক৷ আইএস-এর বিরুদ্ধে হামলা শুরু করেছে দেশটি৷ সীমান্তকে আইএস-মুক্ত করার লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চায় তুরস্ক৷

https://p.dw.com/p/1G5d4
Türkei Recep Tayyip Erdogan PK zu Angriffen auf Syrien
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Depo

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর ওপর যে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে তাতে অংশ নিতে শুরু থেকেই অনীহা প্রকাশ করে আসছে তুরস্ক৷ কিন্তু গত এক সপ্তাহে হঠাৎই অবস্থান বদলেছে দেশটি৷ আইএস-এর আত্মঘাতী হামলায় হতাহতের ঘটনার পর একই সঙ্গে আইএস এবং কুর্দি বিদ্রোহীদের ঘাঁটির ওপর বিমান হামলা শুরু করেছে ন্যাটোর সদস্য দেশটি৷ ইতিমধ্যে নিরাপত্তার স্বার্থে ন্যাটোর প্রতি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠানের আহ্বানও জানিয়েছে তারা৷ মঙ্গলবারই হচ্ছে সেই বৈঠক৷ তবে এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে রেখেও আইএস-বিরোধী ‘রণকৌশল' ঠিক করতে চাইছে তুরস্ক৷

মূলত উত্তর সিরিয়ার পাশের তুরস্ক সীমান্ত থেকে আইএস-কে হঠিয়ে দিতে চায় তুরস্ক৷ বলা হচ্ছে, এর ফলে সিরীয় বিদ্রোহীরা সে অঞ্চলে বড় একটি এলাকার দখল নিতে পারবে এবং সিরীয় শরণার্থীদের দেশত্যাগের পথ উন্মুক্ত হবে বলেই এমনটি চাইছে তুরস্কের বর্তমান সরকার৷ তুরস্ক ইতিমধ্যে প্রায় ১৮ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে৷ তারপরও পুরো বিষয়টি এক ধরণের সংশয়ের জন্ম দিয়েছে৷ বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, তুরস্ক আকস্মিকভাবে যে হামলা শুরু করেছে, তা যতটা না আইএস-বিরোধী, তার চেয়ে অনেক বেশি কুর্দি বিদ্রোহীবিরোধী৷ তুরস্ক আসলে আইএস-কে হঠানোর কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে কুর্দি বিদ্রোহীদের সংগঠন পিকেকে-কে সামলাতেই নাটকীয়ভাবে সাম্প্রতিক হামলাটি শুরু করেছে বলে তাঁদের ধারণা৷

অবশ্য তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত আহমেত দাভোতলু সে দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে খুব জোর দিয়েই বলেছেন, ‘‘তুরস্কের সীমান্তে আমরা দায়েশ (আইএস)-কে দেখতে চাই না৷''

গত শুক্রবার সিরিয়ার সীমান্তবর্তী আইএস-এর ঘাঁটি এবং উত্তর ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহীদের ঘাঁটির ওপর বিমান হামলা শুরু করে তুরস্ক৷ হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে৷ ব্যাপক ধরপাকড়ও চলছে দেশ জুড়ে৷ এ পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার মানুষকে আইএস, পিকেকে এবং মার্ক্সবাদী দল ‘ডিএইচকেপি-সি'-র সমর্থক হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে তুর্কি পুলিশ৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য