1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইপিএল অনুসন্ধানের আঁচ এবার কলকাতাতেও

২১ এপ্রিল ২০১০

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আই পি এল-এ আর্থিক দুর্নীতি এবং অনিয়মের সন্দেহে, দেশজুড়ে যে অনুসন্ধান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তার আঁচ এবার কলকাতাতেও৷

https://p.dw.com/p/N2Vy
আইপিএল চেয়ারম্যান ললিত মোদির দিকেই এখন অভিযোগের আঙ্গুলছবি: AP

বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ইডেন গার্ডেনস-এ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের দফতরে হাজির হন আয়কর দফতরের পাঁচজন অফিসার৷ সি এ বি-তে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং আই পি এল সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র এবং কম্পিউটার রেকর্ড খুঁটিয়ে দেখতে আসেন তাঁরা৷ শুরুতেই জানিয়ে দেন, তল্লাশী চলাকালীন সি এ বি-র কোনও কর্তাব্যাক্তি অফিস ছাড়তে পারবেন না৷ এক দফা তল্লাশীর পর সি এ বি কর্তাদেরও একে একে জেরা করা হয়৷ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয় সি এ বি-র সবকটি টেলিফোন লাইনের৷ সংবাদ মাধ্যমকে কারও ধারে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি৷ থিয়েটার রোডে নাইট রাইডার্স-এর নিয়ন্ত্রক সংস্থা, শাহরুখ খান-জুহি চাওলার মালিকানাধীন রেড চিলিজ-এর সহযোগী সংস্থা গেমপ্ল্যান-এর দফতরেও এদিন সন্ধ্যেতে হানা দেন আয়কর অফিসাররা৷ মধ্যরাত পেরিয়েও সি এ বি-তে তল্লাসি, জিজ্ঞাসাবাদ চলে৷

Indian Premier League Finale
কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা এখন আইপিএলছবি: AP

এদিকে খবর, আই পি এল কমিটির চেয়ারম্যান ললিত মোদি, যাবতীয় অভিযোগের আঙুল এখন যার দিকে, তিনি নাকি নাইট রাইডার্স-এর পিছনে নিজের টাকা খাটিয়েছেন৷ মরিশাসের এক বিদেশি সংস্থার টাকাও নাকি মোদির মাধ্যমে লগ্নি করা হয়েছে৷ সেই কারণেই নাকি আই পি এল কেলেঙ্কারি নিয়ে সরকার নড়েচড়ে বসার পর, প্রথম আয়কর হানা হল সি এ বি-তে এবং নাইট রাইডার্স-এর দফতরে৷ রাজস্ব দফতর এবং বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অফিসাররাও ছিলেন অভিযানে৷ অবশ্য চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং দিল্লিতেও এদিন আয়কর হানা হয়৷

এদিনই নয়াদিল্লিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আইপিএল তদন্তে হস্তক্ষেপ করলেন৷ প্রথমে তিনি ডেকে পাঠান ভারতীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের উপ সভাপতি রাজীব শুক্লা-কে৷ তারপর তিনি বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী প্রনব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে৷

প্রতিবেদক: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম