1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইসল্যান্ডের গণভোটে নেতিবাচক মতামত জনগণের

৭ মার্চ ২০১০

আইসল্যান্ডের দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ব্যাংক ‘আইসসেভ’-এ অর্থ জমা রেখেছিল যেসব ব্রিটিশ এবং ডাচ নাগরিক, আইসল্যান্ড তাদের ঋণ পরিশোধ করবে কি না, সে বিষয়ে গণভোটে অংশ নিল দেশটির জনগণ৷

https://p.dw.com/p/MMC7
গণভোটে নিজের ভোট দিচ্ছেন আইসল্যান্ডের এক নাগরিকছবি: dpa

মার্চ মাসের পরিচিত তীব্র ঠাণ্ডা বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ার বিরূপ আবহাওয়া সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ এই গণভোটে জনগণের উপস্থিতি ছিল উৎসাহব্যঞ্জক৷ তারা বেশ আগ্রহ নিয়েই তাদের নেতিবাচক মতামত এবং রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হাজির হয়েছিল ভোট কেন্দ্রগুলোতে৷ গত বছর দেশটির ‘আইসসেভ' ব্যাংকটি বন্ধ হয়ে গেলে বিনিয়োগকারীদের দাবির মুখে যুক্তরাজ্য এবং নেদারল্যান্ডস নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের পাওনা পরিশোধ করে দিয়েছিল৷

এরপর থেকে ঐ দুই দেশ আইসল্যান্ডের সাথে দেন-দরবার চালাতে থাকে পাওনা পরিশোধের জন্য৷ কিন্তু সমঝোতা আলোচনা অনুযায়ী ঋণ পরিশোধ করার সরকারি প্রস্তাবটি থমকে যায় গত জানুয়ারি মাসে যখন আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধান বিলটিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান৷ দেশটির সংসদেও প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছিল৷ প্রায় তিন লক্ষ ব্রিটিশ ও ডাচ নাগরিককে প্রায় চার বিলিয়ন ইউরো ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল ঐ পরিকল্পনায়৷ কিন্তু ১৯৪৪ সালে নেদারল্যান্ডস এর হাত থেকে স্বাধীনতা লাভের পর প্রথম গণভোটে শনিবার প্রস্তাবটি নাকচ করে দিল সাধারণ জনগণ৷

Isländer stimmen über Schuldentilgung ab
ঋণ পরিশোধের বিপক্ষে আইসল্যান্ডের জনগণের বিক্ষোভছবি: dpa

০৬ মার্চ অনুষ্ঠিত গণভোটের অর্ধেক কেন্দ্রের ফলাফলে দেখা গেছে, ৯৩ শতাংশেরও বেশি ভোটার প্রস্তাবটির বিপক্ষে রায় দিয়েছে৷ দুই শতাংশেরও কম ভোটার রায় দিয়েছে প্রস্তাবটির পক্ষে৷ বাকি ব্যালট পেপারগুলো হয় ফাঁকা ছিল, নয়তো বা বাতিল হয়েছে৷ গণভোটের এমন রায়ের ফলে দেশটির ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হবার প্রক্রিয়াটি বেশ শঙ্কার মধ্যে পড়লো৷ ইতিমধ্যেই ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ম্যাক্সিমে ফেরহাগেন বলেছেন, ‘‘আইসল্যান্ডের সাথে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে সদস্য পদ লাভের বিষয়টি অতিরিক্ত সহায়ক উপকরণ হিসেবে কাজ করবে৷''

এই প্রেক্ষিতে আইসল্যান্ডের জনগণের মাঝে বরং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার বিষয়ে আরো সমর্থন কমছে৷ তাদের দাবি, ‘‘আমরা ঋণ শোধ করতে চাই, কিন্তু তা করতে গিয়ে আমরা দেউলিয়া হতে চাই না৷'' ঐ পরিকল্পনার বিরোধিতাকারী অনেকেই ব্যানার বহন করছিল৷ এগুলোতে লেখা ছিল, ‘‘আইসসেভকে না বলুন৷ ক্ষমতায় কোন বিশ্বাসঘাতকদের দেখতে চাই না৷ জাতি নিষ্পাপ৷''

আইসল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওসুর স্কারপেথিনসন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এই পরিকল্পনায় নেতিবাচক সাড়ার প্রেক্ষিতে নতুন করে সমঝোতা আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী ব্রিটেন এবং নেদারল্যান্ডস৷'' আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইয়োহানা জিগুরডাডোট্টির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, ‘‘সরকারের উপর এর কোন প্রভাব পড়বে না৷ আমরা এই বিতর্কের অবসান ঘটাতে প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবো৷ আমাদেরকে একটা ঐকমত্যে পৌঁছতে হবে৷''

প্রতিবেদক : হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা :সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়