1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিমবাহ অভিযান

উডো বিস/এসবি১৫ মার্চ ২০১৪

অজানার হাতছানি কাকে না টানে! অ্যাডভেঞ্চারের শখ কার না নেই! নিজে না পারলেও বই পড়ে দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা করে অনেকেই৷ আইসল্যান্ডের এক দুর্গম হিমবাহের উপর সম্প্রতি এমনই এক অভিযান চালানো হলো৷

https://p.dw.com/p/1BPfe
Mit dem Jeep unterwegs auf Island
ছবি: picture alliance / Udo Bernhart

লাংইয়োকুল হিমবাহের কোলে পাহাড়ি অঞ্চল৷ জুন থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত বিশেষ ফোর হুইল ড্রাইভ জিপ নিয়ে সেখানে যাবার অনুমতি পাওয়া যায়৷ তবে পর্যটকদের এক দল শীতকালেই সেখানে যাবার উদ্যোগ নিয়েছে৷ ইউরোপের অন্যতম বিশাল হিমবাহ অতিক্রম করতে চেয়েছিল তারা৷ এই অভিযানে বেশ কয়েকদিন সময় লাগে৷ শুরুতেই সুইস অভিযাত্রী লেওনহার্ড ফপ বলেন, ‘‘আমাদের আশা, পথ শুধু সোজা হবে না৷ উঁচু-নিচু পথ হবে, জলের ধারা পেরোতে হবে৷ একটু অ্যাডভেঞ্চার হবে৷'' আরেক অভিযাত্রী উরসুলা ইয়ুংকার বলেন, ‘‘গত ১৫ বছর ধরে নিয়মিত আইসল্যান্ডে আসছি, তবে শীতে কখনো আসিনি৷ পাহাড়ে এমন ভ্রমণ করার ইচ্ছা চিরকালই ছিল৷''

বিশেষ অনুমতি নিয়ে অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী এই দল অভিজ্ঞ নেতাদের নিয়ে পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছে৷ আইসল্যান্ডের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ টিংভেলির জাতীয় পার্কের ভিতর দিয়ে যেতে হয়েছে৷ পথে পড়েছে গুলফস জলপ্রপাত আর বিশাল প্রাকৃতিক ফোয়ারা৷ হিমবাহের পথ মোটেই সহজ নয়৷ কয়েক কিলোমিটার পরই প্রথম সমস্যার মুখে পড়তে হয়৷ বরফের নীচে পানির স্রোত৷ বিশাল টায়ার ও ইঞ্জিন সত্ত্বেও গাড়ি প্রায়ই আটকে যায়৷ প্রথমে দ্রুত, তারপর ধীরে, তারপর আবার দ্রুত চালানোর চেষ্টা বড়ই কঠিন৷ তবে গোটা দলই সাহায্য করেছে৷

অভিযানের নেতা ইয়ন বালদুর টরবিয়র্ন্সসন বলেন, ‘‘আসলে বরফের স্তর খুবই পাতলা, বেশ কঠিনও৷ একবার চাকা বসে গেলে বেরোনো কঠিন৷''

দল এগিয়ে যেতে পেরেছে বটে, তবে খুবই ধীর গতিতে৷ সূর্য তাড়াতাড়ি ডুবে যায়৷ অন্ধকারে গাড়ি চালানো কঠিন৷ প্রত্যেকটি গাড়ি কখনো না কখনো আটকে পড়ে৷ যেমন বরফের নীচে পানির স্রোত৷ সবার শক্তি কাজে লাগিয়ে অভিযানের প্রথম দিন সফলভাবে শেষ হয়৷ পরদিন ভোরে আবার পথ চলার শুরু৷ অভিযানের প্রধান দিনের রুট স্থির করেন৷ টরবিয়র্ন্সসন বলেন, ‘‘অ্যাডভেঞ্চার মানে গতকালের অনুশীলন আজকের বাস্তব৷ বরফ কতটা, কত গভীর – তাতে কিছু এসে যায় না৷ আমরা ৫ থেকে ৮ মিটার বরফের উপর চলেছি৷ প্রশ্ন হলো, কী ধরনের বরফ সেটা৷''

বরফে ঢাকা এলাকার উপর দিয়ে সঠিক পথ খোঁজার ক্ষেত্রে অভিযানের নেতার অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ ঘণ্টায় গড়ে ২ থেকে ৫ কিলোমিটার বেগে গোটা দল আইসল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিমবাহের উপর দিয়ে চলেছে৷ উচ্চতার সমস্যারও সম্মুখীন হতে হয় তাদের৷ লাংইয়োকুল হিমবাহ অতিক্রম করতে ১৪ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে৷ অভিযাত্রী ফ্লপ বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে কয়েক জনের বরফের উপর গাড়িতে চলার অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ তবুও আমি নতুন কিছু শিখলাম৷'' আরেক জন বললেন, কঠিন পরিশ্রম সত্ত্বেও অসাধারণ অভিজ্ঞতা৷ উপকূল ধরে ফেরার পথ অনেক সহজ৷ তবে এখানকার প্রকৃতির রূপও খুবই সুন্দর৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য