1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পলাতক এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন স্পিকার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২২ জুন ২০১৬

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, আরেক আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি আমানুর রহমান খান রানার সংসদের হাজিরা বইতে সাক্ষরের ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে৷ চিফ হুইপ বলেছেন, ‘‘এ বিষয়ে স্পিকার ব্যবস্থা নিতে পারেন৷''

https://p.dw.com/p/1JBKX
Bangladesch Parlament Gebäude in Dhaka
ছবি: AP

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, সোমবার সংসদের ৪ নম্বর লবির হাজিরা খাতায় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার স্বাক্ষর রয়েছে৷ তবে হাজিরা খাতায় সই করার পর তিনি সংসদের অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেছেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷

আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি৷ টাঙ্গাইল-৩ আসনের সংসদ সদস্য রানাকে গ্রেপ্তারের জন্য গত ৬ এপ্রিল টাঙ্গাইলের আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন৷ এরপরও তিন ধরা না পড়ায় ১৬ মে তার বাড়ির মালামাল বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত৷ পুলিশ গতমাসে বাড়ির কিছু মালামাল বাজেয়াপ্ত করলেও তাকে আটক করতে পারেনি৷ আর বাড়িতে তেমন কোনো মালামালও পায়নি৷ এরইমধ্যে সোমবার সংসদ ভবনে গিয়ে তিনি সংসদ সদস্যদের হাজিরা খাতায় সই করায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ সমালোচনার মুখে পড়েছে পুলিশ এবং শাসক দল আওয়ামী লীগ৷

সংসদ ভবনে সদস্যদের প্রবেশের জন্যে ৫টি পথ (লবি) রয়েছে৷ এরমধ্যে এক নম্বর লবি দিয়ে সংসদ অধিবেশনে প্রবেশ করেন বিরোধী দলীয় নেতা, ২ ও ৪ নম্বর লবি দিয়ে প্রবেশ করেন সাধারণ সংসদ সদস্যরা, ৩ নম্বর লবি দিয়ে প্রবেশ করেন নারী সংসদ সদস্যরা এবং ৫ নম্বর লবি দিয়ে অধিবেশনে প্রবেশ করেন সংসদ নেতা ও প্রথানমন্ত্রী৷

এ এস এম ফিরোজ

জানা গেছে, সংসদ ভবনের মূল ফটক দিয়ে সোমবার বেলা ১১টার দিকে প্রবেশ করেন আমানুর রহমান খান রানা৷ সংসদ ভবনের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থাকলেও পলাতক আমানুর রহমান খান রানাকে কেউ বাধা দেননি৷ এরপর তিনি ৪ নম্বর লবিতে গিয়ে হাজিরা খাতায় সই করে দ্রুত একই পথে সংসদ ভবন ত্যাগ করেন৷

জনা গেছে, চলতি বাজেট অধিবেশনে হাজিরা দিতে না পারলে রানার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যেত৷ নিয়ম অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্য যৌক্তিক কারণ ছাড়া সংসদে টানা ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়৷ রানা আত্মগোপনে থেকেই হাজিরা খাতায় সই করায় এখন তিনি পরবর্তী ৯০ কার্য দিবসের জন্য ‘ঝুঁকিমুক্ত' হলেন৷

এনিয়ে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান নিজেকেই নিজে ছোট করেছেন৷ তিনি একটি মামলার আসামি৷ আইনসভার সদস্য হিসেবে তাঁর উচিত্‍ ছিল আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়ে সংসদে আসা৷''

আমানুর রহমান খান রানার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে চিফ হুইপ বলেন, ‘‘এটা জাতীয় সংসদের স্পিকারের এখতিয়ার৷ তিনিই বিষয়টি দেখবেন৷ তিনি সংসদের অভিভাবক৷ চিফ হুইপ হিসেবে আমার তেমন কিছু করনীয় নেই৷ আর তিনি তো হঠাত্‍ এসে হাজিরা খাতায় সই করে চলে গেছেন৷ আমরা জানতাম না, দেখিও নাই৷ স্পিকারও জানতেন না৷''

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে চিফ হুইপ বলেন, ‘‘সংসদের ভেতরে তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে স্পিকারের অনুমতি লাগত৷ গেটে বা গেটের বাইরে আটক করা যেত৷ কিন্তু তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সংসদে পাঠানো হয়নি৷ যারা গেটে ছিলেন, তারা জানতেন না যে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে৷''

চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ আরো বলেন, ‘‘সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার এই কাজে দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে আমি মনে করিনা৷ এটা সংসদের ব্যাপার৷ তিনি একজন সংসদ সদস্য৷''

প্রিয় পাঠক, স্পিকার কি আওয়ামী লীগের এই এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে মনে করেন? নীচে আপনার মতামত জানান৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য