1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আকাশে আলোকবিন্দুর অভিনব খেলা

আন্টিয়ে বিন্ডার/এসবি২০ আগস্ট ২০১৫

আকাশে একঝাঁক আলোকবিন্দুর কেরামতি দেখলে চমকে যাবার কারণ নেই৷ ভিন গ্রহের ইউএফও নয়, মানুষেরই তৈরি প্রযুক্তি এমন অপূর্ব দৃশ্য সম্ভব করে তুলেছে৷ তা দিয়ে অস্ট্রিয়ার একটি সংস্থা দেশে-বিদেশে অসংখ্য মানুষকে মুগ্ধ করছে৷

https://p.dw.com/p/1EvO5
Bildgalerie - Super-Mond
ছবি: Reuters

একঝাঁক আলোর বিন্দু – যেন ভুতের ইশারায় বিশেষ নক্সা অনুযায়ী উড়ে চলেছে৷ আর্স ইলেকট্রনিকা ফিউচার ল্যাবের হর্স্ট হ্যোর্টনার বলেন, ‘‘দেখলে অবিশ্বাস্য লাগে৷ প্রথম দর্শনে এর ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না৷ তখন মনে হয়, এগুলি নিশ্চয় বেলুন অথবা ক্রেনের উপর সাজানো আলোর বিন্যাস৷ কিন্তু তারপর আলোগুলি নির্দিষ্ট ডিজাইন অনুযায়ী ঘুরতে থাকে অথবা একে অপরের উপর দিয়ে উড়ে যায়৷ তখন আর কোনো ব্যাখ্যা কাজ করে না৷ প্রযুক্তি জাদুময় হয়ে ওঠে৷''

অন্ধকারে যা দেখা যায় না, তা হলো এই সব আলো আসলে বহন করছে কোয়াড্রোকপ্টার – অর্থাৎ ছোট আকারের ড্রোন, যা প্রায় নিঃশব্দে উড়ে চলে৷ তাতে এলইডি আলো বসানো রয়েছে৷ অস্ট্রিয়ার লিনৎস শহরে ‘আর্স ইলেকট্রনিকা সেন্টার'-এর গবেষণাগারে এগুলি তৈরি করা হয়েছে৷ ড্রোন-এর মূল অংশ এক জার্মান কোম্পানির তৈরি৷

‘স্প্যাক্সেল' বা আলোর নক্সা কোম্পানির নিজস্ব আবিষ্কার৷ হ্যোর্টনার বলেন, ‘‘সব রংই ফুটিয়ে তোলা সম্ভব৷ প্রথমেই এক রুটিন টেস্ট চালানো হয়৷ প্রথমে সাদা, তারপর আরজিবি – অর্থাৎ লাল, সবুজ ও নীল৷ এই তিনটি রংয়ের মিশ্রণে আমরা যে কোনো রংয়ের কম্পোজিশন তৈরি করতে পারি৷''

যাত্রা শুরুর আগে ড্রোন-গুলিকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করানো হয়৷ কম্পিউটারেই নিজস্ব সফটওয়্যার দিয়ে কোরিওগ্রাফি সৃষ্টি করা হয়৷ ড্রোনগুলি যাতে পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা না লাগে, তারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ড পর পর প্রত্যেকটি ড্রোন সফটওয়্যার-কে নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানায়৷ হ্যোর্টনার বলেন, ‘‘একটি কম্পিউটার প্রত্যেকটি ড্রোন-এর সঙ্গে কথা বলছে৷ ঠিক কোথায় উড়ে যেতে হবে, তার নির্দেশ দিচ্ছে৷ সেই মুহূর্তে আমরা শুধু পর্যবেক্ষক৷ গোটা ঝাঁক তখন স্বাধীনভাবে কম্পিউটারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং প্রোগ্রাম অনুযায়ী কাজ করছে৷''

সবক'টি ড্রোন-কে সঠিক নক্সায় আকাশে ভাসিয়ে রাখাই আসল চ্যালেঞ্জ৷ বাতাস প্রায়ই সমস্যার সৃষ্টি করে৷ একটি ড্রোন ভেঙে পড়লে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ইউরো মূল্যের প্রযুক্তি নষ্ট হয়ে যাবে৷ এখনো পর্যন্ত অবশ্য বড় মাত্রার কোনো ক্ষতি হয়নি৷ ২০১২ সালের প্রথম শো বেশ সফল হয়েছিল৷ ‘লিনৎস-এর ছন্দের মেঘ' নামের সাংগীতিক অনুষ্ঠানে মোট ৪৯টি ড্রোন আকাশে উড়েছিল, যা একটা রেকর্ড৷ তারপর থেকে গোটা বিশ্ব থেকে বায়না আসতে শুরু করেছে৷

২০১৪ সালে সইডেনের উমেও শহরে ‘ইউরোপিয়ান ক্যাপিটাল অফ কালচার'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও তাক লাগিয়ে দিয়েছিল এই ড্রোনের ঝাঁক৷ হ্যোর্টনার বলেন, ‘‘আকাশে যত আলোর বিন্দু পাঠানো যায়, তত ভালো করে কোনো থিম ফুটিয়ে তোলা যায়, আরও বৈচিত্র্য আনা যায়৷ বর্তমানে যে সিস্টেম রয়েছে, তা দিয়ে ১০০ থেকে ২০০টি ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব৷ সেটাই আমাদের লক্ষ্য৷ সেই সীমাও অতিক্রম করার ইচ্ছা আছে আমাদের৷''

আলোকবিন্দুর ঝাঁক আবার যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ এবার মার্কিন মুলুকের মানুষকে মুগ্ধ করার পালা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান