1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আকাশে নয় স্থলে যুদ্ধ চালাচ্ছে গাদ্দাফি বাহিনী

২৪ মার্চ ২০১১

লিবিয়ায় টানা পাঁচদিনের মত বিমান হামলা চালালো পশ্চিমা যৌথ বাহিনী৷ বিমান হামলার মুখে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান জোরদার করেছে গাদ্দাফি বাহিনী৷ এদিকে অভিযানের নেতৃত্ব নিয়ে এখনও দ্বিধায় ন্যাটো৷

https://p.dw.com/p/10gZ8
ছবি: picture-alliance/dpa

সর্বশেষ পরিস্থিতি

লিবিয়ার আকাশে এখন পশ্চিমা যৌথ বাহিনীর বিমান দেখা যাচ্ছে৷ বুধবার রাতেও তারা একাধিক জায়গায় হামলা চালিয়েছে৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা জঙ্গি বিমানগুলো নিয়মিত মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে লিবিয়ার আকাশে৷ গত কয়েকদিনের মত গতকালও তারা গাদ্দাফির কয়েকটি সেনা ও বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে৷ গাদ্দাফির বিমান বাহিনী পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিমান হামলার মুখে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে৷ জানা গেছে, গত একদিনে লিবিয়ার উড়াল নিষেধাজ্ঞা এলাকয় ১৭৫ বার টহল দিয়েছে পশ্চিমা জঙ্গি বিমান৷ বিশেষ করে মিসরাতা এবং জিন্তান শহরে দিনের বেলায় বিমান হামলার মুখে পিছু হটেছে গাদ্দাফি বাহিনী৷ তবে রাতের অন্ধকারে গাদ্দাফির সেনারা ট্যাংক থেকে বোমা বর্ষণ করেছে মিসরাতা শহরে৷ এছাড়া বিদ্রোহীদের দমাতে স্নাইপারও ব্যবহার করছে তারা৷ এদিকে বৃহস্পতিবারও ত্রিপোলিতে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷

Flash-Galerie Libyen Gaddafi Kontrollzentrum in Tripolis zerstört
গাদ্দাফির বিধ্বস্ত একটি ভবনের সামনে লিবিয়ার সেনারাছবি: dapd

পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

বুধবার বিদ্রোহীরা অভিযোগ করেছে যে, গাদ্দাফির সেনারা নির্বিচারে ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করায় অনেক নিরীহ মানুষের প্রাণ গেছে৷ অন্যদিকে গাদ্দাফির সরকারের পক্ষ থেকেও একই অভিযোগ করা হয়েছে যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে৷ তাদের অভিযোগ ত্রিপোলীতে বিমান হামলার ফলে অনেক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে৷ তবে এখন পর্যন্ত এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে যৌথ বাহিনী৷ মার্কিন বাহিনীর চিফ অব স্টাফ রিয়ার অ্যাডমিরাল গেরার্ড হুবার জানিয়েছেন, বেসামরিক হতাহতের কোন খবর তাঁরা এখনও পাননি৷ তবে তাঁর এই বক্তব্য কতটুকু সত্য সেটাও যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি৷

ন্যাটোর বৈঠক আজও

এদিকে ন্যাটোর বৈঠকে এখন পর্যন্ত কোন ফলাফল আসতে দেখা গেল না৷ আজও ব্রাসেলসে বৈঠক করবে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো৷ এখন পর্যন্ত কোন ফলাফল না আসার কারণ তুরস্কের আপত্তি৷ কারণ যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে না ইরাক এবং আফগানিস্তান যুদ্ধের পর আরও একটি যুদ্ধের নেতৃত্ব দিতে৷ ইতিমধ্যে সেটি স্পষ্টও করা হয়েছে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে৷ যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে ন্যাটো এই হামলায় নেতৃত্ব দিক৷ কিন্তু তুরস্ক জানিয়েছে তারা এতে রাজি নয়৷ কারণ তারা চায় না ন্যাটো লিবিয়াতে হামলায় অংশ নিক৷ তবে আজ বৈঠকে একটি ফলাফল আসার আশা করছেন ন্যাটোর নেতৃবৃন্দ৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান