1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আঘাত হানতে পারে বড় ভূমিকম্প, মোকাবিলার প্রস্তুতি নেই

১২ সেপ্টেম্বর ২০১০

ঘন ঘন মাঝারি ভূমিকম্প বাংলাদেশে ৭ মাত্রার বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাষ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷ তবে এই ভূমিকম্প মোকাবিলায় নেই তেমন কোন প্রস্তুতি৷

https://p.dw.com/p/PANg
Dhaka, Bangladesh, ভূমিকম্প বাংলাদেশ, ঢাকা
ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/dpa

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বড়ধরনের ভূমিকম্প হলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাজধানীর পুরনো ঢাকা৷ পুরনো ঢাকার জরাজীর্ণ ভবনগুলো মাঝে মধ্যে এমনিতেই ধসে পড়ে, আর ভূমিকম্প হলে তো কথাই নেই৷ কিন্তু পুরনো ঢাকার বাসিন্দারা বিষয়টিকে তেমন গুরুত্বই দিচ্ছেন না৷ তারা মনে করেন তাদের ভবনগুলো আধুনিক ভবনের চেয়ে অনেক বেশী মজবুত৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের আগের রাত থেকে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ৩ বার মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাষ৷ আর মধুপুর ফল্ট এখনো সক্রিয় রয়েছে৷ ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জানান, গত ১৩০ বছরে মানিকগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে বড় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে৷ ফলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা থেকেই যায়৷

তিনি জানান, রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ধ্বংস লীলা ঘটবে৷ এধরনের ভূমিকম্পের ধ্বংস ক্ষমতা হিরোশিমার ৪৫০টি আণবিক বোমার সমান৷

বড়ধরনের ভূমিকম্পে ঢাকার ৮০ হাজার ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হবে৷ তাৎক্ষণিকভাবে মারা যাবে প্রায় দেড়লাখ মানুষ৷ ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও চট্টগ্রাম রয়েছে ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে৷ ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার আবু নাঈম মো. শাহীদুল্লাহ জানান, সারাদেশে তাদের লোকবল ৬ হাজার৷ শুধু ফায়ার সার্ভিস কেন, দেশের কোন সংস্থাই ভুমিকম্পের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় এককভাবে মোকাবিলায় সক্ষম নয়৷ এরজন্য প্রয়োজন সর্বাত্মক প্রস্তুতি৷

তিনি জানান, ভূমিকম্প মোকাবিলায় শুধু সরকারি প্রস্তুতিই যথেষ্ট নয়৷ প্রয়োজন সচেতনতা এবং এবং সাধারণ মানুষের প্রশিক্ষণ৷ আর ভবন নির্মাণ করতে হবে বিল্ডিং কোড মেনে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই