1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আজকের ওয়েব দুনিয়াতেও ‘পয়লা দর্শনধারী'ই এগিয়ে

১৩ অক্টোবর ২০১০

কথায় আছে না, পয়লা দর্শনধারী ফের গুণ বিচারি...৷ আজকের এই ই-যুগেও কথাটি সর্বাংশে সত্যি৷ বিশেষ করে আপনার ওয়েব পাতার উপর যদি চোখ বোলানো হয়৷

https://p.dw.com/p/PaqA
ফাইল ফটো

সামনাসামনি আপনাকে দেখতে কেমন দেখাচ্ছে, তার ওপর যেমন চাকরি থেকে শুরু করে প্রেমিকার মন পাওয়ার বিষয়টিও অনেকাংশে নির্ভর করে, ঠিক তেমনি অধুনা আপনার নিজস্ব ওয়েব পাতাটির চেহারাটিতে আপনাকে ঠিক কেমন ফুটেছে তার ওপরেও নির্ভর করে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় আপনি কতটা চোস্ত্ ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন, সেটি৷

সম্প্রতি ভার্চুয়াল দুনিয়ার এই ‘গুপ্ত বিদ্যা' নিয়েই বেশ কিছু মূল্যবান ‘টিপস' দিয়েছেন ওয়েব বিশেষজ্ঞরা৷ আজকের এই লেখায় তারই খানিক তুলে ধরা হল৷ ইদানিং ফেসবুক, ব্লগ আর মেসেজবোর্ডে কিছু লিখে তুলে দেওয়ার মানেই হল, ভার্চুয়াল দুনিয়ায় আপনার চেহারাটি দেখানো৷ সে আপনি বাঁধা-ধরা কাজ করতে আগ্রহী নন, কিংবা চাকরি প্রত্যাশী যেই হোন না কেন, এই ডিজিটাল পরিচয়টি'র ধারালো ভাবটি সকলের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ ডাকসাইটে প্রতিষ্ঠানের মানব-সম্পদ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে মূল্যবান ক্রেতা – তাদের চোখে আপনাকে কেমন দেখাচ্ছে সেই প্রথম মুহূর্তটি আদতেই খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ অনেকটা প্রথম দর্শনে প্রেমের মতন আরকি!

এলেবেলে কিংবা শৌখিন ওয়েব পাতার মালিক বা পরিচয়ধারীদের খুব একটা আমলে আনেন না চাকরিদাতারা৷ আর সেখানে সাজানো একেবারে ব্যক্তিগত বিষয় আশয় তুলে রাখাটিও খুব যে কার্যকরী, সেটিও নয়৷ বরং যারা তাদের ওয়েব পাতায় তাদের ভার্চুয়াল চেহারাটি দিয়ে মন জয় করতে চান, তারা বরাবরই কয়েকটি সাধারণ সহজ বিষয় মেনে চলেন৷ এ বিষয়ে এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ‘আপনার যা সত্যিকার নাম সেটি রাখাই ভালো৷ অনর্থক ‘প্রিন্সেস ১২৩' বা ‘বাঘের বাচ্চা' ধরনের নাম রাখলে সেটি আপনার জন্য হিতে বিপরীতই হতে পারে৷

বরং সাব্বির আহমেদ, প্রকৌশলী৷ এই ধরনের স্বাভাবিক আর সত্যিকারের নাম যারা রাখেন তারা এইসব ‘প্রিন্সেস ১২৩' বা ‘বাঘের বাচ্চা'দের চাইতে ঢের বেশি আস্থাভাজন হিসেবেই গৃহীত হন৷ ফলে, কি প্রেম কি টংকা, সবদিকেই সত্যের জয় হয়৷ অর্থাৎ আপনার সত্যিকারের নামটিই বেশি গ্রহণযোগ্য৷

আবার শুধু সত্যি নাম থাকলেই হলো না, আপনার পাতাটিতে আপনার চেহারা আঁকতে আপনি কোন রংয়ের আলপনা এঁকেছেন, লাইন আর বর্ণনা, সবমিলিয়ে সেটি'র চেহারাটি স্বাভাবিক দেখাচ্ছে কিনা সেটাও কিন্তু মুখ্য৷

কেউ কেউ বলছেন, সহজ এবং অনাড়ম্বর পাতা বানানোই ভালো৷ সহজে সামনে হাজির হয়, ভারি সব নকশার ঝামেলামুক্ত, এইসব আরকি৷ আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মস্তি করার ছবি-টবি কিন্তু পেশাদার পাতার প্রায় বারোটা বাজিয়ে দেয়৷ ব্লগারদের ক্ষেত্রেও এটি সত্য৷ আর যারা ভার্চুয়াল দুনিয়া ঢুঁড়ে বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী জপেন, তাদের পেশাদারী চেহারাটি আঁকাও খুব জরুরি একটি বিষয়৷

একজন বিশেষজ্ঞ আবার রং ব্যবহারে সাহসী হতে বলেছেন৷ তিনি জানিয়েছেন যারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করেন, এই আজ করলাম কাল করবো না ধরণের, তাদের পাতার জন্য রং খুব গুরুত্বপূর্ণ, রং ব্যবহারে সাহসী হলে সেই রংটিই হয়তো কাছে টেনে আনবে কাঙ্খিত কাজটির যোগানদাতার চোখকে!

আবার মাত্র একটি অনাকাঙ্খিত ছবিও কিন্তু আপনার সব কিছু একেবারে জলে দিতে পারে৷ আপনার সম্পর্কে নানান কথা, বিশেষ করে যা অন্যের কাছে ‘কুকথা' হিসেবে মনে হতে পারে, সেসম্পর্কেও সাবধান থাকাটা কিন্তু খুব জরুরি৷ মোটের ওপর এইসব মানলে আপনার ভার্চুয়াল চেহারাটি যে খানিকটা হলেও আপনার লক্ষ্যভেদে কাজ দেবে একথা হলফ করেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কাজেই কি চাকরি কি প্রেম ওয়েব পাতায় আপনার স্বাভাবিক সৌন্দর্যটি ফুটিয়ে তুলুন৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন