1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আজমল কাসাবের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখলো হাইকোর্ট

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১

মুম্বই সন্ত্রাসী কাণ্ডের একমাত্র ধৃত ও জীবিত আসামি আজমল কাসাবের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখলো মুম্বই হাইকোর্ট৷ যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায়, দুজন ভারতীয়কে ঐ হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো৷

https://p.dw.com/p/10LB1
কাসাবের ফাঁসির আদেশ বহালছবি: AP

বিশেষ আদালতের দেয়া ২৬/১১-এর মুম্বই সন্ত্রাসী কাণ্ডের একমাত্র ধৃত ও জীবিত আসামি আজমল কাসাবের মৃত্যুদণ্ড আজ বহাল রাখলো মুম্বই হাইকোর্ট৷ এই রায়কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে সরকারি আইনজীবি উজ্জ্বল নিকাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এটা সত্যের জয় আর নাটকবাজির অবসান৷ কারণ, কাসাব তদন্ত প্রক্রিয়াকে বিভ্রান্ত করতে নানা রকম ছলচাতুরি ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিল৷ কখনো উল্টোপাল্টা বয়ান দিতো, কখনো নিজেকে নাবালক বলে দাবি করতো৷ তবে শেষ পর্যন্ত কোনটাই ধোপে টেকেনি৷''

২০০৮'এর ২৬শে নভেম্বর কাসাব ও তাঁর ন'জন সঙ্গির ঐ হামলায়, প্রায় ১৬৬ জন মারা যান, আহত হন আরও ২৩৮ জন৷ আদালতের রায়ে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর তিনজন অফিসার হেমন্ত কারকারে, সহকারি পুলিশ কমিশনার অশোক কামতে এবং পুলিশের নিশানাবাজ বিজয় সালাসকার'এর হত্যার জন্য কাসাব সরাসরি দায়ী৷ ১২০৮ পাতার রায়ে হাইকোর্ট জানায়, এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের জন্য কাসাবের মনে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই৷ এমনকি, নিজেকে শোধরাবার কোনো ইচ্ছাও নেই৷

Anschläge am 26. November 2008 in Mumbai Indien
২০০৮'এর ২৬শে নভেম্বরের হামলাছবি: AP

ঐ হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দু'জন ভারতীয় ফাহিম আন্সারি ও সাবাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে সরকার অভিযোগ আনলেও, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যথেষ্ট প্রমাণাভাবে তাঁদের মুক্তি দেয়৷ কাসাবের আইনজীবি ফারহানা শাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এটাই শেষ নয়৷ আমরা সুপ্রীম কোর্টে আপীলের পরামর্শ দেব কাসাবকে৷ তবে আপীল করা বা না করা কাসাবের ইচ্ছা৷''

এদিকে, সাধারণ মানুষ এই রায়ে সন্তোষ ব্যক্ত করেছে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম বলেন, ‘‘ন্যায়ের দিক থেকে ভারতের বিচার প্রক্রিয়ার এক উজ্জ্বল নিদর্শন৷''

ভারত তথা আন্তর্জাতিক চাপে পাকিস্তান সরকার লস্কর-ই-তয়বার প্রধান জাকিউর রহমান লাখবিসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মুম্বই সন্ত্রাসী কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আদালতে মামলা করে৷ কেউ এখনও দোষী সাব্যস্ত হয়নি৷ তবে সেই সূত্রে কাসাবকে জেরা করার অনুমতি চায় পাকিস্তান৷ যদিও দেশটিকে আগেই কাসাবের স্বীকারোক্তির টেপ দেয়া হয়েছিল৷ পাকিস্তানের মতে সেদেশের আইনে সেটা যথেষ্ট নয়৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ