1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আদালতের রায়: অযোধ্যার বিতর্কিত জমি ভাগ হবে তিনভাগে

৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০

দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে অযোধ্যার রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদের জমি বিবাদ মামলার রায় দিলেন আজ এলাহাবাদ হাইকোর্টের তিন বিচারকের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চ৷

https://p.dw.com/p/PQWW
রায়ের পর পরিস্থিতি থমথমেছবি: AP

আদালত চত্বরে এবং তার বাইরে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা৷ রায় ঘোষণার পর পরবর্তী অবস্থান নিতে বসছে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠক৷

Indien Ayodhya Urteil Moscheegelände wird geteilt
নিরাপত্তা বাহিনী তৎপরছবি: AP

গোটা দেশ যে রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল, অবশেষে সেই রায় আজ বিকেলে ঘোষণা করেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের তিন বিচারকের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চ৷ তাতে বলা হয়েছে, অযোধ্যার ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমিকে ভাগ করা হবে তিন ভাগে৷ জমির এক-তৃতীয়াংশ পাবে হিন্দুরা, এক-তৃতীয়াংশ মুসলিমরা এবং এক-তৃতীয়াংশ যাবে নির্মোহি আখড়ার হাতে৷ হিন্দু পক্ষের আইনজীবী রবিশঙ্কর প্রসাদ আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘রায় বলা হয় রামের জন্মস্থল মনে করে যে স্থানে রামের বিগ্রহ বসানো আছে, সেটাই মেনে নেয়া হবে রামের জন্মস্থল বলে৷ সেখান থেকে রামলালার বিগ্রহ সরানো যাবেনা৷’’ তবে আগামী তিন মাস বর্তমান স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে৷ আদালতের রায়ে এও বলা হয় যে, বাবরি মসজিদ বানিয়েছিল বাবর, এমন কোন প্রমাণ নেই৷ আদালতের রায় সর্বসম্মত নয়৷ একজন ভিন্ন মত দেন৷ অর্থাৎ রায় ২:১-এর ভিত্তিতে৷

Indien Ayodhya Urteil Moscheegelände wird geteilt
উৎকণ্ঠায় রায়ের জন্য অপেক্ষাছবি: AP

সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী জিলানি এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে আপীল করবেন বলে জানিয়েছেন৷ তবে সবাইকে তিনি শান্ত থাকার আবেদন জানান৷ ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে বাবরি মসজিদ ভাঙার আগে ঐ জমি ছিল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে৷ অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে৷

এই মামলার রায় ঘিরে শুরু হবে মেরুকরণের রাজনীতি৷ সামনে বিহার বিধানসভার নির্বাচন৷ পরের বছর আরো কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচন৷ দ্বিতীয়ত, সাম্প্রদায়িক গণ্ডগোলের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায়না৷ আশার কথা নতুন প্রজন্মের মানসিকতা আজকাল অনেক বদলে গেছে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন