1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আপনার কাঙ্খিত ঠিকানা কোন ভবনের পাশে, বলবে যন্ত্র

৪ সেপ্টেম্বর ২০১০

আমরা যখন কাউকে কোন ঠিকানা জানিয়ে দেই তখন সাধারণত ওমুক ভবনের পাশের রাস্তা বা ওমুক ব্যাংকের পাশের গলি, এভাবেই বলে থাকি, তাইনা?

https://p.dw.com/p/P4L9
গাড়িতে থাকা একটি নেভিগেটরছবি: AP

এবার এই কাজটা করবে যন্ত্র৷ আপনি যেখানেই যান রাস্তা না চিনলেও সমস্যা নেই৷ যন্ত্রই বলে দেবে কোথায় কীভাবে যেতে হবে৷ এভাবে যন্ত্রের সহায়তা নিয়ে ঠিকানা চেনার গল্পটা উপমহাদেশে নতুন হতে পারে৷ কিন্তু উন্নত বিশ্বে কিন্তু এভাবেই মানুষ ঠিকানা বের করে থাকে৷ এজন্য প্রতিটি গাড়িতে থাকে ‘নেভিগেটর'৷ গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমস বা জিপিএস ব্যবহার করে কাজটি করে থাকে এই নেভিগেটর৷

কিন্তু এসব নেভিগেটরের সমস্যা হলো এটা বলে থাকে যে ২০০ মিটার সামনে গিয়ে ডানে বা বামে যেতে হবে৷ কিন্তু এভাবে মিটারের হিসেবে অনেক সমস্যা৷ এমনও শোনা যায়, এভাবে যন্ত্রের কথা শুনে মিটারের হিসেব ঠিকমত বের করতে না পেরে কেউ কেউ বনে-বাদারে বিপজ্জনক জায়গায় চলে গেছেন৷

এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে আসছে নতুন এই যন্ত্র - যেটা নিয়ে আসার কথা বলছে নকিয়ার মালিকানায় থাকা নাভটেক কোম্পানি৷ ইতিমধ্যে তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরের রাস্তাগুলোর ছবি তুলতে শুরু করেছে৷ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফ্রাঙ্ক পাওলি বলছেন, আগামী বছরের মধ্যেই ক্রেতাদের হাতে চলে আসতে পারে যন্ত্রটি৷

তিনি বলছেন, নিরাপত্তার দিকে দিয়ে চিন্তা করলেও তাদের যন্ত্রটি ভাল৷ কেননা বর্তমানে নেভিগেটরের কাছ থেকে মিটারে দিকনির্দেশনা শোনার পর তা বুঝতে না পেরে ছবি দেখার জন্য স্ক্রিনের দিকে বারবার তাকাতে হয়৷ এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে৷ কিন্তু নতুন এই যন্ত্রে স্থাপনার কথা বলা মাত্র তা সামনের দিকে তাকিয়ে খুঁজে নিতে হবে৷ ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকছেনা৷

তবে এই ক্ষেত্রে সমস্যাও আছে৷ যেমন এমন কোন বিল্ডিংয়ের কথা বলা হলো যেটা কোন এক সময় ভেঙে ফেলা হলো৷ তখন কী হবে৷ আবার এমনও হতে পারে গ্রীষ্মকালে গাছের পাতায় ঢেকে যেতে পারে কোন বিল্ডিং৷ তখনও সমস্যায় পড়তে হবে চালকদের৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম