1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্তানকে সাঁতার শেখান, নিরাপদ রাখুন

১৯ এপ্রিল ২০১৫

গ্রামের সাধারণ এক নারী সাজেদা৷ কাজে যাওয়ার সময় বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন ১০ আর ৩ বছরের দুই ছেলেকে৷ বাড়ি ফেরার পর তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শেষে পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করেন দুই সন্তানের লাশ৷

https://p.dw.com/p/1F9DB
Cocibolca See in Nicaragua
ছবি: AFP/Getty Images/I. Ocon

সাঁতার না জানার কারণে এভাবে বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৪৮ জন ছেলে-মেয়ে প্রাণ হারাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ৷ সে হিসেবে প্রতিবছর মারা যায় ১৮ হাজারের বেশি ছেলে-মেয়ে৷ এ থেকে পরিত্রাণ পেতে দেশের সব স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীকে সাঁতার শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি জারি করা এক পরিপত্রের মাধ্যমে সরকার দেশের সব স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের জন্য সাঁতার শেখার ব্যবস্থা করতে বলেছে৷

সংবাদটি টুইটারে শেয়ার করেছেন অনেকেই৷

সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন মশিউর আল এফ. রাব্বি৷

তিনটি অলিম্পিক সোনাজয়ী মার্কিন সাঁতারু নাথান অ্যাড্রিয়ানেরও নজরে পড়েছে খবরটি৷ টুইটারে সেটা শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘‘সাঁতার যে প্রাণ বাঁচাতে পারে, সবাই সেটা বুঝতে পারায় অনেক ভাল লাগছে৷''

সাঁতার শেখার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে বছরখানেক আগেই টুইট করেছিলেন আবিদ চানপুরী৷

এদিকে, ইউনিসেফ, সিআইপিআরবি (সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ) সহ কয়েকটি সংস্থার উদ্যোগে ‘সুইমসেফ' নামে শিশুদের সাঁতার শেখানোর একটি প্রকল্প চলছে বাংলাদেশে৷ ইউনিসেফ টুইটারে প্রকল্পের দুটি ভিডিও শেয়ার করেছে৷

সুইমসেফ প্রকল্পের কাজ উৎসাহব্যাঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন ক্যানাডার অধ্যাপক স্টিভ বিয়ারম্যান৷

প্রকল্পের কাজে উৎসাহী হয়ে ব্রিটেনের একটি পরিবার প্রকল্পের জন্য তহবিল জোগাড় করতে উদ্যোগী হয়েছেন৷

এদিকে, শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বেই প্রতিবছর অনেক মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য