আফগানিস্তানের ছবি স্বচ্ছ নয়, বরং ঘোলাটে - ভেস্টারভেলে
১৬ ডিসেম্বর ২০১০বৃহস্পতিবার সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেস্টাগে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘আফগানিস্তানে সৈন্য মোতায়েন একটি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল৷ তবে এটাও ঠিক যে সেখানে অনন্তকাল থাকা যায় না৷'' তালেবান জঙ্গি গোষ্ঠী যাতে আবারও আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করতে না পারে সে উদ্দেশ্যেই গত নয় বছর ধরে আফগানিস্তানে জার্মান সৈন্য মোতায়েন রয়েছে৷ এই দীর্ঘ সময় সেখানে জার্মান সৈন্যদের উপস্থিতির মূল্যায়ন করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে বার্লিন৷ চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত ১০৮ পৃষ্ঠার সেই প্রতিবেদনের আলোকে আফগানিস্তান বিষয়ে সংসদে আজ গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেন ভেস্টারভেলে৷
ভেস্টারভেলে বলেন, ২০১১ সালের শেষ নাগাদ আফগানিস্তানে মোতায়েন জার্মান সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে ফেলা হবে৷ গত নভেম্বরে সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ বৈঠকের সিদ্ধান্তের সাথে সুর মিলিয়ে ভেস্টারভেলে বলেন, আগামী বছরের প্রথমার্ধেই কিছু প্রদেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে আফগানদের হাতে৷ যাতে করে ২০১৪ সাল নাগাদ সেখান থেকে সকল সৈন্যকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়৷ এরপর আর কোন জার্মান সৈন্য আফগানিস্তানে থাকবে না বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেন তিনি৷
জানুয়ারি মাসেই আফগানিস্তানে জার্মানির ভবিষ্যৎ ভূমিকার বিষয়ে বুন্ডেস্টাগকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন ভেস্টারভেলে৷ তবে একইসাথে তিনি সতর্ক করে দেন যে, ‘‘আন্তর্জাতিক বাহিনী সেখান থেকে সরে আসার একদিন পরেই যদি তালেবান গোষ্ঠী আবারও ফিরে আসে সেক্ষেত্রে তা আফগান কিংবা আমাদের কারো নিরাপত্তার জন্যেই সুখকর হবে না৷'' আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভেস্টারভেলে বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের ছবি খুব স্বচ্ছ নয়৷ কিছুটা আলো থাকলেও, একইসাথে রয়েছে প্রচণ্ড অন্ধকার৷''
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার জার্মান সৈন্য সেখানে মোতায়েন রয়েছে৷ আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটো বাহিনীতে তৃতীয় সর্বোচ্চ সৈন্য বাহিনী রয়েছে জার্মানির৷ তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সেখানে নিজেদের সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে অসন্তুষ্ট জার্মানির সাধারণ মানুষ৷ এ পর্যন্ত সেখানে তালেবান জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ জন জার্মান সেনা সদস্য৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক