1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে অপহৃত প্রিন্স হ্যারি!

১৯ অক্টোবর ২০১০

ব্রিটেনের প্রিন্স হ্যারি আফগানিস্তানে অপহৃত হয়েছেন! না খবরটা সত্য নয়৷ মিথ্যা৷ কিন্তু যদি হতেন তাহলে কি হতো? এর উপরই একটি প্রামাণ্য নাটক তৈরি করেছে ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল ফোর৷ আগামী বৃহস্পতিবার প্রচারিত হবে এটি৷

https://p.dw.com/p/PhjE
আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অংশ হিসেবে প্রিন্স হ্যারিছবি: AP

এখন পর্যন্ত এটাই ঠিকঠাক দিনক্ষণ৷ ঠিকঠাক বলছি এই জন্য যে, এই নাটকের প্রচার বন্ধের জন্য চ্যানেলের চেয়ারম্যান লর্ড টেরি বার্নসকে চিঠি দিয়েছেন স্বয়ং ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর প্রধান স্যার জক স্টিরাপ৷

ব্রিটিশ রাজ সিংহাসনের তৃতীয় উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি৷ জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আছেন৷ তিনি যা করেন তাই যেন খবর! সেনা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, আফগানিস্তানে মোতায়েন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন৷ আরও কত কী! এ সব কিছু বিবেচনা করেই নির্মিত ‘দ্য টেকিং অব প্রিন্স হ্যারি'৷ ২৬ বছর বয়স্ক প্রিন্স হ্যারি আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে দশ সপ্তাহ কাজ করেছেন৷ এরপর পত্র-পত্রিকায় ব্যাপক লেখালেখির ফলে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে নিরাপত্তার কারণে ব্রিটেনে ফিরিয়ে আনা হয়৷ সেনাবাহিনীতে হ্যারি পরিচিত লে.ওয়েলস নামে৷ তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন৷সেনা হেলিকপ্টারও চালাতে পারেন৷ চালিয়েছেন যুদ্ধ বিমানও৷

চ্যানেল ফোর-এর ৯০ মিনিটের প্রামাণ্য চিত্রে দেখানো হচ্ছে, আফগানিস্তানে কর্মরত প্রিন্স হ্যারি জঙ্গিদের হাতে আটক হয়েছেন৷ তিনি পণবন্দি৷ তাঁকে মুক্ত করতে আলোচনা চলছে৷ পাশাপাশি সেনা অপরেশন৷ এছাড়া রয়েছে আরও অনেক নাটকীয় বিষয়৷ রয়েছে ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এক জঙ্গির সঙ্গে হ্যারির কথাবার্তা৷ পুরোটাই নাটক৷

সেনা বিভাগের এক মুখপাত্র বিমান বাহিনীর প্রধানের লেখা চিঠির কথা স্বীকার করেছেন৷ তবে তিনি বলেছেন, এখনি এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক