1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে উন্নয়নের দিকে এবার নজর দিচ্ছে মার্কিন সেনারা

১৭ নভেম্বর ২০১০

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে৷ এখন সেনাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ হবে যুদ্ধের মাঠ থেকে উন্নয়নমূলক বেসামরিক কাজের উপর৷

https://p.dw.com/p/QBOO
মার্কিন সেনাদের এমন ভূমিকা নতুন নয়ছবি: DW/Zurutuza

মার্কিন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ক্লে প্যাজেট দাবি করেছেন, কান্দাহারের দক্ষিণ-পশ্চিমের গ্রামীণ এলাকা মাহালাজাত থেকে মার্কিন সেনারা তালেবান জঙ্গিদের উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছে৷ তিনি বলছেন, গত দু'মাসে মার্কিন ও আফগান সেনারা আর্ঘানদাব, ঝারি এবং পাঞ্জওয়ায়ির আশপাশের এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ তালেবানদের হাত থেকে নিয়ে নিয়েছে৷এখন স্থানীয় লোকজনদের তালেবান জঙ্গিদের কবল থেকে মুক্ত রাখার জন্য পুলিশ বিভাগে চাকুরি দেওয়ার মতো সরকারি বিভিন্ন চাকুরিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষ তাদেরকে বিশ্বাস করতে পারে৷

Bewaffneter Soldat einer amerikanischen Spezialeinheit auf afghanischem Boden
আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাছবি: AP

গত সপ্তাহে ক্লে প্যাজেট মার্কিন সরকারের আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইউএসএইড'র সঙ্গে আলোচনায় বসেন৷ সেখানে সেনাকর্মকর্তারা এই অঞ্চলের কীভাবে উন্নয়ন করা যায় তার রূপরেখা তুলে ধরেন দাতা সংস্থাটির কাছে৷

মার্কিন সরকারের অর্থায়নে আফগানিস্তানে রাস্তাঘাট নির্মাণ, কূপ খনন, ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ এবং মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে৷ ইউএসএইড গত বছর থেকে আফগানিস্তানে অনেকগুলো প্রকল্পে কোটি কোটি ডলার অর্থায়ন করে আসছে৷ এইসব প্রকল্পের মধ্যে দু'টি প্রকল্প হচ্ছে, কান্দাহারে নতুন একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক এবং যেসব বিচারক তালেবানদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে তাদের নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থার জন্য একটি হাউজিং কমপ্লেক্স তৈরি করা৷ আগামী একটি বছরও এইসব খাতে একই পরিমাণ অর্থ সাহায্য করবে মার্কিন এই দাতা সংস্থা৷

US Marine - Kandahar - Afghanistan
কান্দাহারে তালেবান দমনে সক্রিয় মার্কিন সেনাছবি: AP

তবে তালেবান জঙ্গিদের ভয়ে এখনও আফগানদের অনেকেই বিশষ করে কান্দাহারের লোকজন সরকারি চাকুরি করতে ভয় পাচ্ছেন৷ বলা হচ্ছে, তারপরও অ্যামেরিকানরা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে৷ ক্যাপ্টেন ইথান ওলবার্ডিং বলছেন, তাঁরা যখন প্রথম কাজ শুরু করেছিলেন সেই সময়ের চেয়ে মানুষ এখন অনেক বেশি খোলামেলা হয়েছেন৷ এখন তাঁরা সেনাদের প্রতি বিশ্বাস আনতে শুরু করেছেন৷ কারণ এখন তাঁরা এই শহরের উন্নয়নের ব্যাপারগুলোও দেখছেন৷

ঝারির স্থানীয় অধিবাসী হাজী ইদ্রিস বলছেন, ‘‘বহু বছরের তালবান শাসনের পর আমরা এখন অবাধে এবং সহজে নিঃশ্বাস নিতে পারছি৷ কারণ আমরা এখন মুক্ত৷ তালেবান জঙ্গিরা আর সামনে নেই৷ এখানে ওখানে দুএকজন থাকলেও তাদের আর ক্ষমতা নেই৷ এখন আর ওরা আমাদের জন্য কোন হুমকি নয়৷ এরইমধ্যে আমাদের দেশের পুনর্গঠন কাজ শুরু হয়েছে৷ আইসাফ বাহিনী আমাদের জন্য এখানে একটা সড়ক তৈরি করেছে৷ আমার আশা পরিস্থিতি এখনকার মত থাকবে৷''

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক