1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে পানির ঘাটতি মেটাতে ১১ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প

২৬ মার্চ ২০১০

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন তার যোগান দিতে পারছে না আফগান সরকার৷ দশকের পর দশক ধরে চলা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ এই দেশে বর্তমানে পানির সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক করতে লাগবে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার৷

https://p.dw.com/p/Mcrb
খরার মুখোমুখি আফগানিস্তানছবি: AP

আফগানিস্তানের পানি এবং জ্বালানি দপ্তরের উপমন্ত্রী সুজাউদ্দীন জিয়াই রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে জানান, আফগানিস্তান তার পানির মূল উৎসগুলো প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভাগ করে নিচ্ছে৷ তবে বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে দেশগুলোকে৷ তিনি বলেন, আগামী ৩০ বছরে আফগানিস্তান ও তাঁর প্রতিবেশী দেশগুলোতে জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হবে৷ আর স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে পানি, খাবার ও বিদ্যুতের চাহিদা৷

আফগানিস্তানে কৃষিক্ষেত্রে সেচের পানি সরবরাহ করা হয় পাহাড়ি নদীগুলো থেকে৷ আর ভৌগলিক কারণে এই নদীগুলোর শাখা রয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোতেও৷ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে আফগানিস্তানে বছরে দুই-তৃতীয়াংশ পানি নষ্ট হয় বৃষ্টি ও তুষারপাতে৷

পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান এবং ইরান ইতোমধ্যেই তাদের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করতে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করেছে৷ আর এর সাথে সাথে উন্নত করেছে জ্বালানি ব্যবস্থাও৷ কিন্তু আফগানিস্তান এখনও এর কোনটাই করতে পারেনি৷ কারণ, তিন দশক ধরে চলা যুদ্ধে দেশটির পানি সরবরাহ ব্যবস্থার অবকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে৷

মন্ত্রী জিয়াই বলেন, বছরে আফগানিস্তানে ৫৭ বিলিয়ন ঘন মিটার পানি বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে নষ্ট হয়৷ অথচ, এই পানির ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ দেশটির চাহিদা পূরণের পর বাকিটা প্রতিবেশী দেশগুলোতেও বন্টন করে নেয়া সম্ভব ছিল৷

দেশের জনসংখ্যার মাত্র ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ২৮ মিলিয়ন মানুষের পরিষ্কার পানি পাবার সুবিধা রয়েছে৷ গম ও অন্যান্য শষ্য উৎপাদন করতে প্রয়োজনীয় ২৩,০০ মেগাওয়াট পানি বিদ্যুতের মধ্যে মাত্র এক শতাংশ উৎপন্ন করতে পারছে তারা৷

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, পানির চাহিদা বৃদ্ধি, তা সরবরাহের অব্যবস্থা এখন একটি জটিল পরিবেশের সৃষ্টি করেছে তবে তা সমাধানযোগ্য৷

মন্ত্রী জানান, ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তান কিভাবে জলাধার নির্মাণ করে তাদের জ্বালানি ও পানি দুটোরই সরবরাহ বাড়াতে সক্ষম হবে তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে৷ আর তা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ১১ বিলিয়ন ডলার অর্থ লাগবে৷

তিনি আরও জানান, এই বছর কাবুল ১১০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে জলাধার নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে৷ আর আগামী বছর ৪৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে পানি সরবরাহ প্রকল্পের প্রথম ধাপটির কাজ শুরু করা হবে৷

প্রতিবেদক: আসফারা হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ-আল ফারূক