1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে বিদেশী সেনাদের প্রাণহানি অব্যাহত

৯ অক্টোবর ২০১০

আফগানিস্তানে তালেবান জঙ্গিদের হামলায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনী বা আইসাফ এর চার সেনা নিহত হল৷ এদিকে পাকিস্তানে বন্দুকধারীরা ন্যাটোর ২৯টি তেলের ট্যাঙ্কার ধ্বংসের পর একটি সরবরাহ পথ খুলে দিতে যাচ্ছে ইসলামাবাদ৷

https://p.dw.com/p/PaDm
German ISAF troops patrol
ছবি: picture-alliance/ dpa/dpaweb

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলও নিরাপদ নয়

বার্তা সংস্থাগুলোর খবর থেকে জানা গেছে, শনিবার আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের ফারাহ প্রদেশের গুলিস্তান জেলায় আইসাফ বাহিনীর একটি সেনা বহরের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে৷ বহরের একটি গাড়ি আগে থেকে রাস্তায় পেতে রাখা বোমার ওপর উঠে পড়লে বিস্ফোরিত হয়৷ এসময় তালেবান জঙ্গিরা ওই বহরের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে৷ ইটালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তালেবান হামলায় তাদের চার সেনা নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও এক সেনা৷ উল্লেখ্য, ফারাহ প্রদেশে আইসাফ বাহিনীর হয়ে কাজ করছে ইটালির সেনাবাহিনী৷ এই হামলার পর তালেবান গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে দায়িত্ব স্বীকার করেছে৷ তারা দাবি করেছে, হামলায় তারা পাঁচটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে৷

Two British soldiers of the International Security Assistance Force (ISAF)
আইসাফ বাহিনীতে কর্মরত ব্রিটিশ সেনাছবি: AP

বিদেশী সেনাদের প্রাণহানী চলছেই

এদিকে এই হতাহতের ফলে আফগানিস্তানে নিহত ইটালীয় সেনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ এ৷ বর্তমানে আফগানিস্তানে তিন হাজারেরও বেশি ইটালীয় সেনা কর্মরত৷ তুলনামূলক নিরাপদ পশ্চিমাঞ্চলে তারা দায়িত্ব পালন করলেও বর্তমানে সেখানেও এখন তালেবান হামলা বাড়ছে৷ এদিকে সর্বশেষ হামলার ফলে চলতি বছরে নিহত বিদেশী সেনার সংখ্যা দাড়ালো ৫৭০ এরও বেশি৷ গত বছর নিহত হয়েছিল ৫২১ জন বিদেশী সেনা৷ কেবল সেনারাই প্রাণ হারাচ্ছে না, নিরীহ মানুষের প্রাণহানীও বেড়ে চলেছে৷ জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথমার্ধে বেসরকারি প্রাণহানির পরিমাণ ৩১ শতাংশ বেড়েছে৷

ছয় দফা ন্যাটো সরবরাহে হামলা

এদিকে পাকিস্তানে গত এক সপ্তাহের বেশি সময়ে ছয় দফা হামলা হলো ন্যাটোর সরবরাহ যানের ওপর৷ সর্বশেষ শনিবার বন্দুকধারীদের হামলায় ২৯টি তেলের ট্যাঙ্কার ধ্বংস হয়ে গেছে৷ জানা গেছে, কোয়েটার দক্ষিণ পূর্বের মিত্রি এলাকাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে৷ মিত্রির প্রশাসনিক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, প্রায় ৩০ জন বন্দুকধারী এই হামলা চালায়৷ এই সময় তেলের ট্যাঙ্কারগুলো একটি হোটেলের সামনে দাঁড় করানো ছিল৷ এই হামলার জন্য এখনও কেউ দায়িত্ব স্বীকার করেনি৷ এদিকে এই ঘটনার পর পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা আফগানিস্তান সীমান্তে ন্যাটো বাহিনীর একটি রসদ সরবরাহ পথ খুলে দেবে৷ গত ৩০ সেপ্টেম্বর মার্কিন বিমান হামলায় দুই পাকিস্তানী সেনা নিহত হওয়ার পর এই সরবরাহ পথটি বন্ধ করে দিয়েছিল পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক