1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফ্রিকার এইডসের নাটকে কান মুগ্ধ, বিচলিত

১৯ মে ২০১০

দক্ষিণ আফ্রিকার চিত্র পরিচালক অলিভার স্মিটস ‘‘লাইফ, এ্যাবাভ অল’’, ‘সবার ওপরে জীবন’ ছবিটির বিশ্ব মোহরত করলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে, এবং ১০ মিনিটের স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেলেন৷

https://p.dw.com/p/NRRA
মালাউয়ির এই শিশুরা বাবা-মা’কে হারিয়েছে এইডস রোগে (ফাইল ছবি)ছবি: AP

স্মিটস বার বার বলেছেন, এটা এইডস সংক্রান্ত কোনো ছবি নয়৷ এটি একটি মা ও মেয়ের সম্পর্ক সংক্রান্ত নাটক, যার পরিবেশ হল সামাজিক বিধিনিষেধ, অসুখ-বিসুখ এবং মিথ্যাচার৷ ছবিটি কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় এইডস মহামারীর প্রকোপে আট লক্ষ অনাথ শিশুর প্রতি উৎসর্গীকৃত৷

একটি শিশু কোনো অজানা কারণে প্রাণ হারাল৷ তার মা তাকে ‘‘নিজের দুধের বিষ দিয়ে মেরেছে'' বলে অভিযোগ৷ বেকার এবং মাতাল বাবা বিশেষভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে৷ পটভূমিতে প্রতিবেশীরা কানাঘুষো করছে৷ পুরো ছবিটা তোলা হয়েছে জোহান্নেসবার্গের বাইরে একটি টাউনশিপে, স্থানীয় পেডি ভাষায়৷ খুব ধীরগতিতে ছবির সূচনা৷

১২ বছরের মেয়ে চন্দা বোঝার চেষ্টা করছে, তার সাজানো জগৎটা কেন এ'ভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে৷ যে রোগ তার পরিবারকে ধ্বংস করছে, তার নামোচ্চারণ পর্যন্ত করা হয়নি, কিন্তু ধীরে ধীরে বোঝা যাচ্ছে, তা এইডস৷ - প্রসঙ্গত, স্মিটস এক দশক আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে বার্লিনে আসেন দেশে কাজ নেই বলে৷ ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ম জগতে বিশেষ কিছু ঘটছে না৷ এবং যেটুকু ফান্ডিং আছে, সেটা যে একজন মাঝবয়সী, শ্বেতাঙ্গ চিত্রনির্মাতা পাবে না, সেটা আমি, সঠিকভাবেই, প্রত্যাশা করি না,'' বলেছেন স্মিটস৷ ‘‘মাপান্টসুলা'' এবং ‘‘হাইজ্যাক স্টারিজ''-এর মতো আর্ট ফিল্ম করে নাম করেছেন তিনি৷ সম্প্রতি ‘‘টার্কিশ ফর বিগিনার্স'' নামের একটি টিভি সিরিজও করেছেন৷ ‘‘লাইফ, এ্যাবাভ অল'' একটি জার্মান-দক্ষিণ আফ্রিকান যৌথ প্রযোজনা৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা