1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস

১১ জুলাই ২০১৩

বৃহস্পতিবার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হচ্ছে৷ বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়ে চললেও তার বণ্টন কিন্তু সমান নয়৷ যেমন ইউরোপে জনসংখ্যা, বিশেষ করে তরুণদের সংখ্যা কমে চলায় অনেক সমস্যা দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/195rS
ছবি: Getty Images

জার্মানির হানোফার শহরের ফুটবল ক্লাবের স্টেডিয়ামের সামনে প্রায় তিন মিটার লম্বা বিশাল একটি ঘড়ি রয়েছে৷ এই ঘড়ি সময় দেখায় না, তাতে বিশ্ব জনসংখ্যার বর্তমান বৃদ্ধির হিসাব পাওয়া যায়৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, বিশেষজ্ঞদের আগের হিসাব ঠিক নয়৷ প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ২.৬ জন শিশু ভূমিষ্ঠ হচ্ছে৷ যা ঘণ্টায় ১৫৮ বা বছরে প্রায় ৮ কোটি ২৯ লক্ষ৷ অর্থাৎ, প্রতি বছর গোটা বিশ্বে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে তা জার্মানির জনসংখ্যারও বেশি৷

পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৭১০ কোটি৷ সর্বশেষ পূর্বাভাষ অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৯৬০ কোটি৷ যা ২০১১ সালের পূর্বাভাষের তুলনায় ২৫ কোটি বেশি৷ অর্থাৎ আজকের হিসাব আগামীকালও মিলছে না৷ ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ যখন প্রথম বার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আয়োজন করেছিল, তখন বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ৫০০ কোটির মতো৷

Indien Bevölkerung Männer
পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৭১০ কোটিছবি: AP

জাতিসংঘের পূর্বাভাষে শুধু গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার গতি-প্রকৃতি উঠে আসে না, শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের মধ্যে পার্থক্যও ধরা পড়ে৷ যেমন জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আফ্রিকা মহাদেশেই সবচেয়ে বেশি৷ আজ সেখানে প্রায় ১১০ কোটি মানুষের বসবাস৷ চলতি শতাব্দীর শেষে, অর্থাৎ ২১০০ সালে সেই সংখ্যা নাকি বেড়ে দাঁড়াবে ৪২০ কোটি৷

অন্যদিকে ইউরোপের জনসংখ্যা কমে চলেছে৷ প্রায় সব শিল্পোন্নত দেশই এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে৷ তবে কিছুটা আশার আলোও দেখা যাচ্ছে৷ যেমন ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও সুইডেন এর বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে সুফল পাচ্ছে৷ বিশেষ করে নারীরা যাতে সন্তান ধারণ করেও নিজেদের পেশায় অসুবিধার মুখে না পড়েন, সমাজ তা নিশ্চিত করতে পারলে জনসংখ্যার পড়তি হার মোকাবিলা করা সম্ভব৷

গোটা বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ার কারণগুলিও উঠে এসেছে বিভিন্ন রিপোর্টে৷ উন্নয়নশীল দেশের নারীদের একটা বড় অংশ জন্ম নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত৷ ফলে পরিকল্পনা না থাকলেও শিশুর জন্ম হচ্ছে৷ একটি হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছর প্রায় আট কোটি নারী নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভবতী হয়ে পড়ে৷ অন্যদিকে চিকিৎসার উন্নতি ও তার সুযোগ বেড়ে চলায় আয়ু বাড়ছে৷ ফলে মৃত্যুর হার কমছে৷ আজ বিশ্বের গড় আয়ু প্রায় ৭০, শিল্পোন্নত বিশ্বে প্রায় ৮২৷

এই প্রবণতার নানা দিক রয়েছে৷ খাদ্য উৎপাদনের হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারায় অনাহারের শিকার হচ্ছে অনেক মানুষ৷ শহরমুখী অভিবাসনের ফলে বাসস্থানের অভাবও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, কেএনএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য