1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবারো হামলা করাচিতে

১০ জুন ২০১৪

করাচি বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাকিস্তানি এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স অ্যাকাডেমির বাইরে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এতে পাঁচজন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হন বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷

https://p.dw.com/p/1CFFL
Angriff auf den Flughafen von Karachi 10.06.2014
ছবি: picture-alliance/dpa

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, থেকে থেকে ঐ অ্যাকাডেমির সামনে থেকে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে৷ তাৎক্ষণিকভাবে করাচি বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে৷ পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন জানিয়েছে যে, ঐ এলাকায় তিন জন জঙ্গি প্রবেশ করেছে এবং তাদের ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনী৷ এ হামলার ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে পাকিস্তানে তালেবান জঙ্গিরা আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে৷

মঙ্গলবার করাচির বিমানবন্দর থেকে বিমানবন্দরে কর্মরত আরো সাতজন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর, নিহতদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে৷ মৃতদেহ পাওয়ার আগে সোমবার মধ্যরাত থেকে নিহতদের স্বজনরা করাচির প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন৷

জানা যায়, বিমানবন্দরের ভেতরে বিস্ফোরণের আগে নিহত শ্রমিকরা তাঁদের স্বজনদের জানিয়েছিলেন যে তাঁরা একটি গুদামে লুকিয়ে আছেন৷ আর তারপরই বিস্ফোরণের শব্দ পান স্বজনরা৷

04.05.2013 DW online Karte Karussel Pakistan Karachi ENG

প্রাদেশিক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডক্টর সাগির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান যে, তাঁরা ঐ সাতজন কর্মীর পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন৷ বিমানবন্দরের একজন নিরাপত্তাকর্মী এখনো নিখোঁজ৷ যে টার্মিনাল দিয়ে হজ যাত্রীরা মক্কায় যাওয়ার বিমানে ওঠেন, তালেবানরা সেই টার্মিনাল দিয়েই বিমানবন্দরে প্রবেশ করেছিল৷

বিমানবন্দরের ১১ নিরাপত্তাকর্মী ঐ হামলায় নিহত হন৷ নিহতদের একজন আধাসামরিক রেঞ্জার, একজন পুলিশ এবং ১৪ কর্মী ও ১০ জন তালেবান৷ গত সেপ্টেম্বর মাসে পেশাওয়ার শহরে একটি হামলায় ৪২ জন নিহত হওয়ার পর, এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা পাকিস্তানে৷

তালেবানের ঘাঁটিতে হামলা

ওদিকে মঙ্গলবার পেশাওয়ারে তালেবানের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী৷ এ হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি৷ সেনাবাহিনীর দাবি ঐ অভিযানে তারা তালেবানদের সব ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েছে৷

বিশেষজ্ঞদের মতামত

বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের ধারণা, করাচি হামলার পর তালেবানের সাথে শান্তি আলোচনার সব পথ বন্ধ হয়ে গেল৷ এই পরিস্থিতি সামলাতে সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানান তাঁরা৷ এদিকে উত্তর ওয়াজিরিস্তান থেকে সব বেসামরিক নাগরিককে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার৷ সেখানে আরো বড় ধরনের অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের৷

তালেবানের প্রতিক্রিয়া

তেহরিক-ই-তালিবান অফ পাকিস্তান বা টিটিপি জানিয়েছে, সোমবারের ঐ হামলা নভেম্বর মাসে মার্কিন ড্রোন হামলায় তাদের নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদের হত্যার প্রতিশোধ৷ তালেবান জঙ্গিরা এরই মধ্যে হুমকি দিয়েছে, এর চেয়ে ভয়াবহ হামলার জন্য যেন প্রস্তুত থাকে সরকার৷ এদিকে সরকার ও তালেবানের এই অবস্থানে গত ৪৮ ঘণ্টায় পেশাওয়ার থেকে ২৫ হাজার মানুষ অন্যত্র পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পেশাওয়ার কর্তৃপক্ষ৷

পাকিস্তানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, রবিবার মধ্যরাতের পর পুলিশের বেশে কয়েক জঙ্গি করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করে৷ এরপর শুরু হয় ব্যাপক গুলিবর্ষণ এবং বোমার বিস্ফোরণ৷ তবে মেজর জেনারেল রেজওয়ান আক্তারের নের্তৃত্বাধীন সেনারা পাঁচ ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য