1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার প্রাণ-দেবানন্দ জুটি, তবে পর্দায় নয়

১ মে ২০১০

হিন্দি ছবির অনুরাগী, অথচ প্রাণ কি দেবানন্দের নাম জানেন না, এমন হতেই পারে না৷ একজন ভিলেন, অন্যজন হিরো৷ তবে দু’জনেই বলিউডের প্রাণপুরুষ৷

https://p.dw.com/p/NByr
‘অশীতিপর’ দেবানন্দ (ফাইল ফটো)ছবি: AP

‘জনি মেরা নাম' মনে আছে তো? আজ তা বলিউড কিংবদন্তীর অঙ্গ৷ সে-আমলে ভিলেন বলতেই প্রাণ'কে বোঝাতো৷ অথচ এই মানুষটিকে আজকের অনেক হিরোর চেয়ে ভালো দেখতে-শুনতে ছিল৷ অসাধারণ অভিনয় করতেন৷ এঁকে যে কেন এবং কিভাবে ভিলেনের স্টিরিওটাইপে ফেলা হল, তা অজ্ঞাত৷ ওদিকে দেবানন্দ ছিলেন হিন্দি ফিল্ম জগতের চিরকুমার, তাঁর বয়স বাড়ে না, তা তাঁর হিরোইনরা যতো কমবয়সীই হোক না কেন৷ দেবানন্দের বাচনভঙ্গি থেকে শুরু করে তাঁর হাঁটার ভঙ্গি - এমনকি তাঁর টেরি কাটার ধরণটি কিংবা তাঁর গলায় রুমাল বাঁধা - সবই ছিল তাঁর নিজস্ব৷ তাঁর ফ্যানদের কাছে তিনি এক কথায় দেব৷ আর যারা তাঁর ফ্যান নন, তারাও কেন জানি না, মানুষটিকে ভালো না বেসে পারতেন না৷

আজ প্রাণের বয়স ৯০, দেবানন্দের ৮৬৷ দু'জনকে সম্মানিত করা হল দাদাসাহেব ফালকে এ্যাকাডেমি থেকে৷ ভারতীয় সিনেমার জনক দাদাসাহেব ফালকে নিশ্চয় খুব খুশী হতেন৷ অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্র রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছগন ভুজবল স্মৃতিচারণ না করে পারেন নি: ‘‘প্রাণ সাহেবের ছবি দেখার সময় তাঁর অভিনীত চরিত্রটির উপর খুব রাগ হতো৷ এমন গভীর অনুভূতির সঙ্গে অভিনয় করতেন যে তাঁর ভূমিকাটির উপর রাগ না করে উপায় ছিল না৷'' দেবানন্দ সম্পর্কে ভুজবলের স্মৃতি: ‘‘মনে আছে, দেব সাহেবের ছবি দেখার জন্য লম্বা টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে হতো৷ তাঁর ‘গাইড', ‘হাম দোনো', ‘খোয়া খোয়া চাঁদ' ইত্যাদি ছবি আমার ফেবারিট৷'' - বলতে কি: আমাদেরও৷

‘আমে' কি বা আসে যায়

অতীতের স্বপ্নজগৎ থেকে বর্তমানে ফিরে স্বপ্ন দেখলাম: শচীন তেণ্ডুলকর খাচ্ছি৷ না, ক্রিকেটের কিংবদন্তী শচীনকে নয়, বরং তাঁর নামে নাম রাখা একটি আম'কে৷ এই শচীনকেই যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিন সদ্য বিশ্বের একশো' জন সবচেয়ে প্রভাবশালী মানুষের তালিকায় রেখেছে৷ কিন্তু ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের লখনৌ শহরের মালিহাবাদ এলাকার প্রবীণ আমচাষী কলিমুল্লা খান শচীনকে দিয়েছেন অন্য এক ধরণের সম্মান৷ কলিমুল্লা এযাবৎ কলম মিলিয়ে ৩০০ ধরণের আম সৃষ্টি করেছেন এবং এই কাজের জন্য সরকারি সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন৷ তাঁর কাছে শচীন বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার, তাই তার জন্য একটি সেরা আম চাই৷ সে আম কিন্তু বেচার জন্য নয়, কেননা শচীনও বেচার জন্য নয়৷ তবে তিনি শচীনকে তার নিজের আমগাছের একটি চারা দেবেন, যাতে শচীন তাঁর বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে - নিজেকেই খেতে পারেন!

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই